আল আমিন মুন্সী:>>>
নরসিংদীর পলাশে জমি সংক্রান্ত সালিশি বৈঠকে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তিন নেতাসহ আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। শনিবার উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, ডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজন আহাম্মেদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি বাবুল মিয়া , আরিফ হোসেন, যুবলীগ নেতা আমীর হোসেন ভা-ারী ও সোহেল মিয়া। আহতদের মধ্যে আমীর হোসেন ভা-ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সময় ডাঙ্গার কেন্দুয়াব গ্রামের আজিজ মিয়া ও নাছির উদ্দিনের মধ্যে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিবাদের সালিশ চলছিল। সালিশে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, আমাদীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিটন মিয়া, ছাত্রলীগ সভাপতি রাজন আহাম্মেদ।
বৈঠক চলাকালীন সময় নাছির উদ্দিনের পক্ষে ইউপি সদস্য বাদল উত্তেজিত হয়ে সালিশের উপস্থিতিদের উদ্দেশ্য করে অকত্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বাদলের সাথে থাকা সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে আরাফাত নামে একজন পিস্তল বের করে গুলি ছোঁড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয় যুবলীগ নেতা আমীর হোসেন ভা-ারী।
এছাড়া দেশীয় রামদার আঘাতে গুরুত্বর আহত হয় ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি আরিফ হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা রাজনসহ আরো অনেকে। ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, সালিশি বৈঠকে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে বাদল মেম্বার তার উৎপেতে থাকা সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়।
বাদল দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নীরিহ মানুষদের বিচার সালিশের মাধ্যমে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ওই দিন ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আজিজ মিয়ার আমন্ত্রণে আমরা সালিশ বৈঠকে যাই। কিন্তু আমাদের ওপর এরকম হামলা হবে তা কখনো ভাবিনি। আহত ছাত্রলীগ নেতা রাজন আহাম্মেদ বলেন, পুরো হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাদল মেম্বার। সে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য নিজেস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী তৈরি করেছে। বাদল মেম্বারের বিরুদ্ধে খুনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এসব বিষয়ে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদল জানান, শান্তিপূর্ণ সালিশি বৈঠকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। এতে আমি ও আমার অনেক লোক আহত হয়েছে।
এখন উল্টো তারাই আমাদের দোষারোপ করছে। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।
একুশে মিডিয়া/এমএস
No comments:
Post a Comment