উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:>>>
নড়াইল সদর উপজেলাধীন তারাশী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বন্দের অবসান ঘটিয়ে সম্প্রীতির বন্ধন স্থাপন করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার)এটি নিয়ে নড়াইলে যোগদানের পর পুলিশ সুপার মোট ১৩৫টি দ্বন্দের অবসান ঘটিয়েছেন। জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলাধীন তারাশী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরকত গ্রুপ ও সরোয়ার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। আর এ দ্বন্দের জেরে অনেকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বিষয়টি নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) এর নজরে আসলে তিনি এই দ্বন্দের অবসান ঘটনোর জন্য গতকাল সন্ধ্যায় মাইজপাড়া বাজারে দুই পক্ষের লোকজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে একত্রিত করেন।
সকলে একত্রিত হওয়ার পর তিনি দুই পক্ষের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। তারপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তিনি একটি সুষ্ঠ সমাধান দেন। পুলিশ সুপারের প্রদত্ত সমাধানে দুই গ্রুপই সন্তোষ প্রকাশ করে এবং সেই সাথে তারা পুনরায় দাঙ্গা হাঙ্গামায় শামিল হবে না মর্মে পুলিশ সুপারের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইলিয়াস হোসেন, পিপিএম, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার পিতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম মর্ত্তুজা স্বপন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান, মাইজপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি প্রমুখ।
গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) তাঁর বক্তব্যে বলেন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সামাজিক ব্যধি। এগুলো সমাজে শুধু বিশৃঙ্খলাই সৃষ্টি করে। তাই সকলকে এগুলো পরিহার করা উচিৎ। এছাড়া সকলকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বানও জানান তিনি।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment