শার্শায় স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় ২ এএসআই ও ১ কনস্টেবল আটক। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 21 May 2019

শার্শায় স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় ২ এএসআই ও ১ কনস্টেবল আটক। একুশে মিডিয়া


এবিএস রনি, যশোর প্রতিনিধি:>>>
ভারতে পাচার করার সময় দুই স্বর্ণ বহনকারীকে ৮টি স্বর্ণের বারসহ আটক করে স্বর্ণ আত্মসাত করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়োজিত এ.এস.আই তবিবুর রহমান, এ.এস.আই রঞ্জন কুমার মৈত্র ও কনস্টেবল তুষার সরকার। মঙ্গলবার সকালে তাদের যশোর আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যার দিকে শার্শার জামতলা প্রাইমারী স্কুলের পাশ থেকে দুই স্বর্ণ চোরাচালানি বেনাপোল পোর্ট থানার সাজেদুর রহমান ও আক্তার হোসেনকে এ.এস.আই তবিবুর, এএসআই রঞ্জন ও কনস্টেবল তুষার আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ৮টি স্বর্ণের বার রেখে দেয় তারা। তাদের ক্যাম্পে না এনে গোপনে ছেড়ে দেয়। স্বর্ণ আটকের কোন তথ্যও তারা ক্যাম্প ইনচার্জকে অবহিত না করে নিজেদের কাছে রেখে দেয়। সোমবার এ ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরের দিকে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণও উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন মহলে জানানোর পর সোমবার বিকালে তাদের তদন্ত কেন্দ্র থেকে শার্শা থানায় আনা হয়। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ও স্বর্ণ চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয় শার্শা থানায়। (মামলা নং-২৫ ও ২৬ তারিখ-২০/০৫/১৯)। এর পরই তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুখদেবের কাছে মুঠোফোন জানার জন্য ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে উপপরিদর্শক রহিম হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্তরা বিষয়টি আমাকে এবং ওসি স্যারকে না জানিয়ে নিজেরাই এ কাজ করেছে।
উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলম জানান, এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages