নরসিংদীর পলাশে চুরির মামলায় সাক্ষী হওয়ায় অভিযুক্ত চোরকে সাথে নিয়ে গিয়ে সাক্ষীকে বেধরক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক এ এসআইয়ের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এ এসআই) সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে চুরির মামলায় সাক্ষী হওয়ায় শিপু মিয়া (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগি ওই শিক্ষার্থী পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের মো. মিলন মিয়ার ছেলে।
সে পাশ্ববর্তী গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ পূবাইল আদর্শ কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এ এসআই সালাউদ্দিন। ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী শিপু মিয়া জানান, গত দেড়মাস আগে প্রতিবেশী বাবুল মিয়া তার বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বাড়ির পাশে রড, সিমেন্ট ও ইট এনে রাখে। সেখান থেকে একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে আক্তারুজ্জামান তার লোকজন নিয়ে রড ও সিমেন্ট চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাবুল মিয়া বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আমি সাক্ষী হই। এরপর থেকেই অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে আমাদের বাড়িতে ডাঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ এ এসআই সালাউদ্দিন অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামানকে সাথে নিয়ে এসে বাড়ির উঠানে ফেলে আমাকে স্টিলের পাইপ দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে।
পরে প্রতিবেশীরা আসা শুরু করলে তারা চলে যায়।পরে বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় পলাশ থানার ওসির কাছে গিয়ে অভিযোগ করি। এ বিষয়ে এ এসআই সালাউদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,মঙ্গলবার রাতে ডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের পাশের এক মুদিদোকানী জানান তাকে শিপু ফোন করে চাল,ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বলেছে। তাই, শিপু মিয়াকে বাড়ির পাশের রাস্তায় পেয়ে একটু দমক দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। তবে তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment