রেখা মনি:
প্রতিভা সাহিত্য সংস্কৃতি ক্রীড়া ও গণমাধ্যম কল্যাণ ইউনিটি (পিএসএসকেজিকেইউ) উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দিনব্যপী ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সাভার, আশুলিয়া ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১৫০টি দুস্থ পরিবারে খাবার সামগ্রী পৌছে দিতে সফল হয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণ।
প্রতিভা সাহিত্য সংস্কৃতি ক্রীড়া ও গণমাধ্যম কল্যাণ ইউনিটি (পিএসএসকেজিকেইউ) উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দিনব্যপী ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সাভার, আশুলিয়া ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১৫০টি দুস্থ পরিবারে খাবার সামগ্রী পৌছে দিতে সফল হয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণ।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন খাবার সামগ্রী বহনকারী ভ্যান চালক মোঃ আমিনুর রহমান ও মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সাবান বিতরণ করার সময় পাঁচ-ছয়জন ব্যক্তি একসাথে হাত বাড়িয়ে ছবি তুলে স্যোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করছে আর আপনি যে পরিমাণ খাবার সামগ্রী বিতরণ করছেন সে অনুযায়ী আপনার সাথে অন্তত ২০/২৫ জন মানুষ ও অন্তত ১০জন সাংবাদিক থাকা প্রয়োজন ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিভা সাহিত্য সংস্কৃতি ক্রীড়া ও গণমাধ্যম কল্যাণ ইউনিটি’র (পিএসএসকেজিকেইউ)প্রতিষ্ঠাতা ও স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণ জানান, দেখুন আজ করোনা ভাইরাস এর কারনে সারা বিশ্বে যে পরিস্থিতি বিরাজমান এক্ষেত্রে আমাদের সচেতননতাই সবচে বড় ঔষধ করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
আর এজন্য সরকার যে ঘোষনা দিয়েছেন সবাইকে ঘরে থাকার জন্য এর বিকল্প নেই। তাই আমাদের সবারই উচিৎ নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, নিজের প্রতিবেশির জন্য, নিজের দেশবাসীর জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া আর ঘরের মধ্যে সময় অতিবাহিত করা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের না হওয়া।
আর আপনি যেটা বলেছেন ২০/২৫জন লোক এবং ১০ জন সাংবাদিক সাথে রাখার কথা, আপনার এই কথার সাথে আমি একমত নই এই কারনে যে, আমি দুস্থ মানষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে, তাকে খাবার দিতে যাচ্ছি তার জীবন জীবিকার জন্য্ যেন সেই দুস্থ পরিবারটিকে খাবারের জন্য ক্ষুধার্থ না থাকতে হয়।
এই দরিদ্র পরিবারটি বর্তমানে পরিস্থিতির শিকার তারা কিন্তু ভিখারী নয়। তাই তাকে এক বেলার খাবার দিতে গিয়ে সেই খাবার সামগ্রীসহ তার ছবি তুলে প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা স্যোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম্যে তা প্রচার করে বিশ্ববাসীর সামনে তার সম্মানহানী করার কোন অধিকার আমার নেই। সেই পরিবারটি দরিদ্র হলেও তাদের কিন্তু নিজস্ব একটা সম্মান আছে।
তাছাড়া আমার সংগঠন এই দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে মানবিক কারনে, সেলফি তুলে নিজেদের পরিচয় বাড়ানোর জন্য নয় বা নিজেকে পরিচিত করে তুলে মেম্বার , চেয়ারম্যান, মেয়র ,এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়।মানুষ মানুষের জন্য এই বাস্তবতার মাইল ফলক যেন সারজীবন অব্যাহত থাকে।
তিনি আরো বলেন, করোনার কারনে দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে আসুন আমরা দুস্থ পরিবারের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই মানবিকতার মানষিকতা নিয়ে, সেলফিবাজি বা নিজের পরিচয় বাড়ানোর জন্য দুস্থ মানুষগুলোর সম্মন যেন ক্ষুন্ন না করি।
একটি পরিবারকে কি পরিমান খাবার সামগ্রী প্রদান করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শ্রাবণ বলেন, একটি পরিবারকে আমরা ১দিনের খাবার সামগ্রী প্রদান করছি, এর মধ্যে রয়েছে ৫কেজি চাউল, ২ কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ৫০০গ্রাম সোয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম লবন, ২টি সাবান ও ৫০০ গ্রাম জামা কাপড় ধৌত করে পরিস্কার রাখার জন্য ডিটারজেন্ট পাওডার।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment