এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লা
চৌদ্দগ্রামে ১ সন্তানের জননী দিলোয়ারা বেগম শিউলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে
থানা পুলিশ। এঘটনায় স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিলো স্বামী
হেলাল উদ্দিন কে।
স্ত্রী হত্যার দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পর স্বামী হেলাল
উদ্দিন বিষপানে আত্মহত্যা। বলতেছিলাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন এর কুঞ্জশ্রীপুর
গ্রামের স্ত্রী ও স্বামীর মৃত্যুর ঘটনা।উল্লেখ্য ২৬ই অক্টোবর কুঞ্জশ্রীপুর
গ্রামে ১ সন্তানের জননী দিলোয়ারা বেগম শিউলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে
স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় শিউলীর পিতা ফয়েজ আহাম্মদ শিউলীর
স্বামী মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্র হেলাল উদ্দিন কে প্রধান ও ভাই-মা ও
ভাবী সহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।এ ঘটনার পর থেকে হেলাল উদ্দিন সহ পরিবারের
লোকজন পালিয়ে যায়।এদিকে ২৮ অক্টোবর বুধবার সকালে পরিবারের সকলের চোখের
আড়ালে নিজ বাড়িতে বিষপানে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে হেলাল উদ্দিন।
বিষপানের কিছু সময়
পরই পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুজতে পেরে দ্রুত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স নিয়ে আসে,অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত
চিকিৎসক এর পরামর্শে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে প্রেরণ করে,কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথেই হেলাল উদ্দিনের মৃত্যু
হয়।
এঘটনা সম্পর্কে আলাপকালে স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার আবুল হাশেম জানান,মুমূর্ষু অবস্থায়
হাসপাতালে আনা হয় তাকে। মুখে ও শরীরে বিষের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।অবস্থা
আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেন
বলেন,মৃত হেলাল উদ্দিন তাঁর স্ত্রী শিউলী কে হত্যার অভিযোগে দায়ের কৃত
মামলার প্রধান আসামী ছিলো। মাত্র ২ দিনের মধ্যেই স্বামী /স্ত্রীর মৃত্যু
নিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে নিস্তব্ধ রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment