একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ছয় কিশোর-কিশোরীকে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া তিন কিশোরীর দুই জন ঢাকার ধামরাইয়ে স্থানীয় স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। অন্যজন একটি মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তিন কিশোরের দুই জন ধামরাইয়ের দুটি স্কুলে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং আরেকজন কুমিল্লার লাকসামের একটি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে।
ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি ধামরাই উপজেলার বড় কুশিরিয়া কাজিয়ারকুণ্ড গ্রামে। আরেকজনের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়।
তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্কুল ছুটি থাকায় কাজিয়ারকুণ্ডে খালার বাড়িতে থেকে সে টাইলস ফিটিংয়ের কাজ শিখছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বলেন, শুক্রবার রেলওয়ে স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে চলাফেরার সময় তাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এসময় তাদের দুইজন নিজেদের ‘স্বামী-স্ত্রী’, অন্যরা ‘বন্ধু-বান্ধবী’ পরিচয় দেয়। কথা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বিয়ে করার জন্য তারা পালিয়ে চট্টগ্রাম এসেছে। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা শনিবার সকালে থানায় পৌঁছেন। পরে সমাজ সেবা অধিদপ্তর মহানগরের প্রবেশন অফিসার ফারম্নমা বেগমের উপস্থিতিতে কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।পুলিশ জানায়, সবার বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমে সম্পর্ক গড়ে উঠে।
নিজের পছন্দে বিয়ে করতে তারা সবাই এক সাথে বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সকালে সবাই একযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় এবং সেখান থেকে বিকালের ট্রেনে করে রাতে চট্টগ্রামে চলে আসে।
রাতে নগরের ফ্রি পোর্ট এলাকায় ৭০০ টাকা ভাড়ায় একটি বাসায় থাকে তারা। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাড়ি ফিরে যাবে। সেজন্য তারা বাসের টিকিট করতে গিয়েছিল। কিন্তু টাকা সংকুলান না হওয়ায় রাতের ট্রেনে ঢাকায় ফিরতে রেল স্টেশনে গিয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment