ই-একুশে মিডিয়া |
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁশখালী ক্রিকেট একাডেমি আয়োজনে, ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের মধ্যেকার প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ সম্পন্ন। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় প্রাক্তন একাদশ টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত( ২৫/২৪.২ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে আব্বাস ৩৩, সাইদুল ২৫,রিয়াদ ১৫, নয়ন ১২, তুরাজ ১১ রান করেন। বল হাতে তানভী,সানি, সোহান ২ উইকেট ও আকবর, নাছির,তানভীর ১ উইকেট লাভ করে।
জবাবে বর্তমান একাদশ ১৮১ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ২২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে,ফলে বর্তমান একাদশ ৪ উইকেটে জয় লাভ করে। বর্তমান একাদশের হয়ে তারেক ৭৪, আকবর ২৮, সোহান ১৬, জাহেদ ১৪ রান করেন। বল হাতে এনাম টি৩, আবিদ ২টি
তুহিন ১টি করে উইকেট লাভ করে।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়,এতে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গনে সফল অবদান রাখায় বাঁশখালী ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক ও কোচ এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিলুফার কায়সার স্মৃতি মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠিতা পরিচালক সাংবাদিক মোহাম্মদ এরশাদকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন বাঁশখালী ক্রিকেট একাডেমির প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রীড়া শিক্ষার্থীরা।উক্ত খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম।
এসময় বাঁশখালী ক্রিকেট একাডেমির প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রীড়া শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদানকালে রিয়াদুল ইসলাম বলেন,দক্ষিণ চট্টগ্রামে ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন একজন সফল ও পরিশ্রমী ক্রীড়া সংগঠক সাংবাদিক এরশাদ স্যার,যার অক্লান্ত পরিশ্রমে ও ভালোবাসায় ক্রীড়াঙ্গনে সফলতার গন্তব্যে পৌঁছার সুযোগ লাভ করেছে আমাদের মতো শত শত ক্রীড়া শিক্ষার্থীরা।তাঁর হাতে গড়া অনেক ক্রীড়া শিক্ষার্থীরা এখন চট্টগ্রাম ও ঢাকা লীগসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গনে বাঁশখালীসহ পুরো বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছে।ক্রীড়াঙ্গনে যার অবদান সর্বাধিক তাঁর অবদান হয়তো উদ্দেশ্য প্রণোদিতরা আড়ালে রাখার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে, যাহা আমরা বিভিন্ন ভাবে আঁচ করতে পেরেছি। তবে ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অবদানকে কেউ অস্বীকার মানি পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনকে অস্বীকার করার শামিল হবে বলে আমি মনে করি। ক্রীড়াঙ্গনে এতো বেশি অবদান রাখা সত্বেও তিনি আজ সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত কেন? অথচ ক্রীড়াঙ্গনে জীবনে নাম শোনা ও না দেখা অনেক ব্যক্তিরাই ক্রীড়াঙ্গনে উচ্চ স্থান দখল করে আছে।সুতরাং একজন দক্ষ ও যোগ্য ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখা ব্যক্তিদের যেন ক্রীড়াঙ্গনে যেন যথাস্থানে আসীন করে সম্মানিত করা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
No comments:
Post a Comment