বাঁশখালীর শীলকূপে বিএনপির উদ্যোগে কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা সভায় অতিথিরা। |
বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কারা নির্যাতিত নেতাকর্মী ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বীরোচিত সংবর্ধনা গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শীলকূপ ওসমান ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বাহারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান। প্রধান বক্তা ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ছনুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি নেতা ও শীলকূপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসীন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রাসেল চৌধুরী, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোহাম্মদ ইউনুস, সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল হক, প্রবীণ বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল, ছনুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ তোফায়েল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হেফাজ উদ্দীন চৌধুরী,যুবদল নেতা আবদুল মালেক, মোহাম্মদ জোনাইদ, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ আরিফ, ছাত্রদল নেতা শাহেদ তালুকদার, আবু তালেব, আলী আব্বাস,আরাফাত, আলি ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতা মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান বলেন, আমরা বিগত ১৭ বছর ধরে শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। কোথাও মিটিং মিছিল করতে পারিনি। আজকে ছাত্রজনতার গণ আন্দোলনে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই অর্জন যেন ধ্বংস না হয় সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আগামীতে দেশ নায়ক তারেক রহমানের পরিবর্তনের রাজনীতির পক্ষে সবাইকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে। বিএনপি নেতারা বলেন, বিএনপির নামে কেউ অপরাধ করলে, চাঁদাবাজি করলে, জায়গা জমি দখল করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। দল এখনো ক্ষমতায় আসেনি। আমাদেরকে জনগনের আস্থা ধরে রাখতে হবে। বিএনপিই জনগনের ভোটে আগামীতে ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ।
পরে বিগত ১৭ বছর ধরে মামলা, হামলা ও কারা নির্যাতনের শিকার শীলকূপ ইউনিয়নের ১৬ জন রাজবন্দী এবং ১৪ জন রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ মোট ৩০ জনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
No comments:
Post a Comment