চাকরির প্রলোভনে বাঁশখালীর এক যুবককে ঢাকায় নিয়ে খুন - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 7 September 2024

চাকরির প্রলোভনে বাঁশখালীর এক যুবককে ঢাকায় নিয়ে খুন

একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদক:

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোঃ বোরহান উদ্দিন মায়মুন (২২) নামে বাঁশখালীর এক যুবককে ঢাকায় নিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহতের পরিবারের দাবি লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলো খুনি, মুক্তপণ দিতে না পারায় গলায় তার পেচিয়ে বোরহান উদ্দিন মায়মুনকে খুন করেছে ঘাতক সবুজ। খুনের পর মায়মুনের মোবাইল নিয়ে গেছে এবং তার লাশ রুমের ভিতরে রেখে দরজায় তালাবদ্ধ করে দিয়ে পালিয়েছে খুনি সবুজ।

নিহত মায়মুন- চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর জলদী রুহুল্লাহপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে। ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ শুক্রবার ( সেপ্টেম্বর) তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহত মায়মুন বাঁশখালী পৌরসভা সভা বিএনপি নেতা কামাল উদ্দীনের চাচাত ভাই বলে জানা গেছে।

বাঁশখালী থানা পুলিশ নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, বোরহান উদ্দিন মায়মুন একসময় কারাগারে ছিলেন। ঢাকার একজনের সাথে কারাগারেই তার পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে ঢাকার সেই বন্ধু জেল থেকে বের হয়ে মায়মুনকে ভাল বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় যেতে বলেন। গত সোমবার বোরহান উদ্দিন মায়মুন ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ বাঁশখালী থানায় বোরহান উদ্দিন মায়মুনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানালে পুলিশের সহযোগিতায় মায়মুনের পরিবার ঢাকায় গিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় যাত্রবাড়ি থানা থেকে লাশ বুঝে নেয়।

নিহতের চাচাতো ভাই মোঃ আজিজ জানান, কারাগারে সবুজ নামে এক লোকের সাথে মায়মুন এর পরিচয় হয়। কারাগার থেকে বের হয়ে টাকা খরচ করে সবুজ নামের লোকটাকে জামিন করে মায়মুনের বাসায় রেখেছিল। ওই সুবাদে ঘাতক সবুজ  ভালো বেতনের চাকরির কথা বলে মায়মুনকে  ঢাকায় নিয়ে যায়। ঘাতক সবুজের নাম পরিচয় সব কিছু পাওয়া গেলেও যাত্রবাড়ী থানা পুলিশ ঘাতক সবুজকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। মায়মুনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল থেকে ফোন করে তার পরিবার থেকে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল ঘাতক সবুজ, মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় মায়মুনকে খুন করেছে ঘাতক সবুজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে লাশ গ্রহণ করেন পরিবারের সদস্যরা। মায়মুন একজন নম্র-ভদ্র স্বভাবের ছেলে। তাকে কেন হত্যা করা হল বুঝতে পারছি না।

 

বাঁশখালী থানা পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, যাত্রাবাড়ি থানা থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি বাঁশখালী থানাকে অবহিত করার পর সাবেক কাউন্সিলর দীলিপ কুমারকে ফোন করে আমরা মায়মুনের পরিবারকে খুঁজে বের করি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেই প্রকৃত কারণ উদঘাটন হতে পারে। ঘটনা ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় হওয়াতে আমরা এবিষয়ে এখনো সঠিক কিছু বলতে পারছিনা।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages