ওসমান হোসাইন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী আবদুল জলিল চৌধুরী কলেজে উৎসবমুখর পরিবেশে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) রয়া ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথি
হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন
কলেজ
গভর্নিং বডির
সম্মানিত সদস্য
এডভোকেট এস.
এম.
ফোরকান।
অনুষ্ঠানে আরও
উপস্থিত ছিলেন
উপাধ্যক্ষ সমীর
রঞ্জন
নাথ,
শিক্ষক
প্রতিনিধি অধ্যাপক শামীম
আক্তার
চৌধুরী,
শিক্ষক
পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক এইচ.
এম.
আবু
ওবায়দা,
ক্রীড়া
উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল
জলিল,
বিতর্ক
উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এরশাদুল ইসলাম,
সাহিত্য ও
সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আশরাফ
আলী,
অধ্যাপক তাজনীন
ফেরদৌস,
অধ্যাপক নাজমা
বেগম
এবং
অধ্যাপক আবদুল
কাইয়ুম। এছাড়াও
কলেজের
সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী ও
কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে একাডেমিক, ক্রীড়া ও
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কৃতিত্বের জন্য
পুরস্কার প্রদান
করা
হয়।
প্রধান
অতিথি
রয়া
ত্রিপুরা তার
বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মেধা
ও
নৈতিকতার বিকাশে
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার প্রশংসা করেন
এবং
শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা
ও
মনোযোগের সঙ্গে
পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান
জানান।
তিনি
বলেন,
"তরুণ
প্রজন্মকে শুধু
পাঠ্যপুস্তকের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না
রেখে
তাদের
প্রতিভা বিকাশের সুযোগ
করে
দেওয়াই
আজকের
শিক্ষার মূল
উদ্দেশ্য হওয়া
উচিত।"
বিশেষ অতিথি এডভোকেট এস. এম. ফোরকান শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম এবং মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করার পরামর্শ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন বলেন, "এই কলেজ শুধু শিক্ষার কেন্দ্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও মানবিক বিকাশেরও কেন্দ্র। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সফলতার পাশাপাশি মানবিক, সৃজনশীল ও নৈতিক গুণাবলিতে গড়ে উঠুক।"
পুরস্কার বিতরণ
শেষে
শুরু
হয়
বর্ণিল
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থী, শিক্ষক
ও
অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো
কলেজ
প্রাঙ্গণ ছিল
প্রাণবন্ত ও
আনন্দময়।
প্রতিবছরের মতো
এবারও
কর্ণফুলী আবদুল
জলিল
চৌধুরী
কলেজ
তার
ঐতিহ্য
ও
গৌরবকে
আরও
সমৃদ্ধ
করেছে।
শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ এবং
শিক্ষক
ও
পরিচালনা পর্ষদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ
আয়োজন
হয়ে
উঠেছে
এক
অনন্য
ও
স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
No comments:
Post a Comment