চন্দনাইশে কাঞ্চন পেয়ারা মৌসুমে রেকর্ড ফলন, হিমাগারের অভাবে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 19 August 2025

চন্দনাইশে কাঞ্চন পেয়ারা মৌসুমে রেকর্ড ফলন, হিমাগারের অভাবে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

মোহাম্মদ ওমর ফারুক, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সুস্বাদু কাঞ্চন পেয়ারা দেশের বাজারে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। আকারে বড়, স্বাদে অনন্য সহজে নষ্ট না হওয়ায় পেয়ারা সারা দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এবার মৌসুমের শুরু থেকে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হলেও সংরক্ষণ সমস্যা বাজারব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে তারা ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

পেয়ারা উৎপাদনের ইতিহাস জনপ্রিয়তা:

চন্দনাইশের হাসিমপুর, সৈয়দাবাদ কাঞ্চননগর এলাকায় প্রথমে জাতের পেয়ারা চাষ শুরু হয়। এখান থেকেই এর নামকরণ হয়েছে কাঞ্চন পেয়ারা বর্তমানে উপজেলার দুই সহস্রাধিক কৃষক কয়েক দশক ধরে বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ করে আসছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ৭৫০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩০ হেক্টরে কাঞ্চন পেয়ারা এবং বাকি জমিতে অন্যান্য জাতের পেয়ারা। প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ১৫ মেট্রিক টন পেয়ারা উৎপাদিত হয়।

মৌসুম, বাজার বাণিজ্য:

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেয়ারার মৌসুম। সময়ে উপজেলার রৌশনহাট, খাঁনহাট, বাগিছাহাট, কাঞ্চননগর বাদামতল, জামিজুরি, হাশিমপুর দোহাজারীসহ বিভিন্ন স্থানে পেয়ারা হাট বসে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষকরা বাগান থেকে সরাসরি হাটে পেয়ারা বিক্রি করেন।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় কক্সবাজার, বান্দরবান, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ আশপাশ জেলার পাইকাররা সহজেই এই হাট থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসে।

চাষিদের সমস্যা অভিযোগ:


কৃষকদের অভিযোগ, সরাসরি বাজারে পৌঁছানোর উপযুক্ত অবকাঠামো নেই। হিমাগার না থাকায় পেয়ারা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না। বাজারব্যবস্থাপনায় আধুনিকতার অভাব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাঝে মাঝে বড় ক্ষতির কারণ হয়।

তাদের মতে, সরকারি উদ্যোগে হিমাগার স্থাপন, আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ, সরাসরি বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করা গেলে একদিকে কৃষকরা উপকৃত হবেন, অন্যদিকে কাঞ্চন পেয়ারা আন্তর্জাতিক বাজারেও জায়গা করে নিতে পারবে।

কৃষি অফিসের বক্তব্য:

চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আজাদ হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে কাঞ্চন পেয়ারার ফলন ভালো হয়েছে। চাষিদের সহায়তায় মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কাজ করছেন। রোগবালাই দমন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আধুনিক পদ্ধতিতে চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম চলছে।

👉 সার্বিকভাবে কাঞ্চন পেয়ারা চন্দনাইশ অঞ্চলের মানুষের জীবিকা স্থানীয় অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা গেলে পেয়ারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একটি অন্যতম রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য হয়ে উঠতে পারে।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages