মোহাম্মদ ওমর ফারুক, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় গুদামে ভয়াবহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মালিকসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ বৈলতলী সীমান্তবর্তী সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ দ্বীপ চরতী শফির চর এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গুদামের শ্রমিকরা সকালে চা তৈরির জন্য চুলা জ্বালালে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন গুদামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে।
চরতী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন বলেন, ফজরের নামাজ শেষে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি গুদামে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয় দোহাজারী হাসপাতালে নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দগ্ধরা হলেন- গুদাম মালিক মাহবুবুর রহমান (৪৫), পিতা: কবির আহম্মদ, সৌরভ রহমান (২৫), পিতা: সাদেক, কফিল উদ্দিন (২২), পিতা: মনজুর আলম, রিয়াজ (১৭), পিতা: আব্দুর রহিম, ইউনুস (২৬), পিতা: ইউসুফ, আকিব (১৭), পিতা: আমীর আলী, হারুন রশিদ (২৯), পিতা: নুরুল ইসলাম, ইদ্রিস (৩০), পিতা: নাসিম, মোহাম্মদ লিটন (২৮), পিতা: আমীর আলী, ছালেহ আহমদ (৩৩), পিতা: আব্দুল জলিল, চরতী ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, চার মাস আগে সীমান্তবর্তী এলাকায় গুদামটি স্থাপন করা হয়েছিল। স্থানীয়দের মতে, শ্রমিকরা চা তৈরির সময় সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে আগুন লাগে।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ থেকেই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গুদামে ক্রস ফিলিং চলাকালে ধূমপান থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তদন্ত চলছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, দগ্ধদের প্রত্যেকের শরীরের ৭০% এরও বেশি পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকার বিশেষায়িত বার্ণ ইউনিটে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।




No comments:
Post a Comment