ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরি বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হামলায় ১ নিরাপত্তাকর্মী নিহত ও আহত ৪। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 2 April 2019

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরি বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হামলায় ১ নিরাপত্তাকর্মী নিহত ও আহত ৪। একুশে মিডিয়া


আল-আমিন মুন্সি:>>>
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অবস্থিত ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্যাবল চুরির বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হামলায় গোলাপ মিয়া (৫৫) নামে এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো চার জন। রবিবার মধ্যরাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭ নং ইউনিটের পাশে অবস্থিত ক্যাবল স্টোরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাপ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ার চরটেকি গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক মিয়ার ছেলে। তিনি ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া হামলায় আহতরা হলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ, নিরাপত্তাকর্মী সাজ্জাত রহমান, আনসার সদস্য আশাদউল্লাহ ও উজ্জল মিয়া।
পুলিশ ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭ নং ইউনিটের পাশে অবস্থিত ক্যাবল স্টোরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী গোলাপ মিয়া ও সাজ্জাত রহমান।
এছাড়া স্টোরের পাশে নিরাপত্তায় ছিলেন আশাদউল্লাহ ও উজ্জল নামে আরো দুই আনসার সদস্য। রাত আনুমানিক ২টার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের তদারকি করতে ঘটনাস্থলে যায় সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ।
এসময় স্টোর থেকে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত একটি মোটা তামার ক্যাবল টেনে বের করে নিতে দেখে সুপার ভাইজার নিরাপত্তাকর্মীদের ডেকে নিয়ে যায়। এবং সেখানে বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের সাথে থাকা আরো ১৫/২০ জন লোক নিরাপত্তাকর্মীদের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। এতে হামলায় আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় নিরাপত্তাকর্মী গোলাপ মিয়া। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসীক হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত নিরাপত্তাকর্মী সাজ্জাত রহমান জানান, প্রথমে ৪/৫ জন লোক ক্যাবল টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আমারা তাদের বাধা দেই। এরপর নির্জন একটি ঝোপ থেকে আরো ১৫/২০ জন লোক রামদা ও লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় আনসার সদস্যদের সাথে দুটি সর্টগান ছিল। সুপাভাইজার তাদেরকে ফাঁকা গুলি  ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিল কিন্তু তারা কেউ-ই গুলি ছোড়েনি।
এছাড়া হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে আমরা সহকারী পরিচালাক (নিরাপত্তা) এডি স্যারকে ফোন করে হামলার বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের উপর হামলার বিষয়টি বিশ্বাস না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তখন তিনি বলেন নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ দুইজন আনসার সদস্য থাকা অবস্থায় কিভাবে এই হামলা হয়। পরে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের জানালে তারা পুলিশ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত সেনাসদস্যদের অবগত করলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের উদ্ধার করে। 
আহত সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ জানান, হামলার শুরুতেই তাৎক্ষনিক আমাদের জীবন রক্ষার্থে দুই আসনার সদস্যদের ফাঁকা গুলি করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা কোন মতেই সর্টগান হাতেই নেয়নি। বরং তারা বন্দুক কাঁধে রেখেই মার খেতে থাকল। তখন আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়লে আমাদের উপর এমন হামলাও হতোনা আর নিরাপত্তাকর্মী গোলাপ মিয়াও মারা যেত না। 
এ বিষয়ে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার আক্তার হোসেন জানান, নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের সাথে দুটি সর্টগান ও ৫ রাউন্ড করে ১০ রাউন্ড গুলি ছিল। নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন গুলি ছোড়েনি সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়া এসব বিষয়ে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) মোঃ কামাল মজুমদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনারপর তিনি সাথে সাথে ফোনটি বন্ধ করে ফেলেন। 
পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।





একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages