একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
২০০৬ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কার্যক্রম শুরু এবং বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের সময় থেকে পেট্রোবাংলা কখনো কোনো হিসাব রাখেনি। বললেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে নসরুল হামিদ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির বিপুল পরিমাণ কয়লা গায়েবের ঘটনায় পেট্রোবাংলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনে হচ্ছে বড়পুকুরিয়া খনির সব কর্মকর্তা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আমি আজ বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। এটি এখনো দেখিনি। আমি এটা পড়ে পরে মন্তব্য করব।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েবের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা সংস্থার পরিচালক (খনন) কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কয়লা সরবরাহ অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার কারণে পাশের বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যার ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের বিপুল ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন।
এদিকে, বড়পুকুরিয়ার কয়লা গায়েবের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং কয়লা খনির ১৯ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দিয়েছে।
দুদকের অনানুষ্ঠানিক অভিযোগ অনুযায়ী, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ ও অন্যরা ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা বিক্রি করে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একুশে মিডিয়া।”



No comments:
Post a Comment