ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
‘বিএনপি থেকে বের হওয়ার ইচ্ছে ও সুযোগ নেই’ টক শোতে এমন মন্তব্য করার একদিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সংবর্ধনায় যোগ দিলেন সাবেক বিএনপি নেতা ও তৃণমূল বিএনপির প্রধান নাজমুল হুদা।
এক সময়ে আওয়ামী লীগের কট্টর নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী, ২০০১ সালের যোগাযোগমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন সময় বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন।
দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। পরে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন। তবে সেই দল থেকেও বহিষ্কার হন তিনি। সবশেষ ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে দল ঘোষণা করেন নাজমুল হুদা।
বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারী এক টেলিভিশনের টকশোতে যোগ দিয়ে নাজমুল হুদা বলেন, ‘বিএনপির কমিটমেন্টের মধ্যে দিয়ে আমি আছি সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমি দলটির অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এমনকি এমপি হওয়া থেকে মন্ত্রী হওয়া সব বিএনপি থেকেই হয়েছি। বিএনপির প্রতি আমার কমিটমেন্ট খুবই দৃঢ় এবং অতি গভীর; এর থেকে বেরিয়ে আসার আমার কোনো ইচ্ছেও নেই, আসতেও চাই না। সেই প্রত্যয় নিয়ে আমি রাজনীতিতে আসিনি।’
এই বক্তব্যের একদিন পরই শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্জিত সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন নাজমুল হুদা।
তাকে মঞ্চের সামনে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদ ও জাসদ নেত্রী শিরিন হকসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায়।
তৃণমূল বিএনপির প্রধান হিসেবে তিনি নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে নিজেই গড়ে তুলেছেন নয় দলীয় জাতীয় জোট। এ জোট নিয়ে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে যাচ্ছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
গত ১৮ জুলাই ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ১৪ দলের মুখপাত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে ধানমন্ডির কার্যালয়ে দেখা করে মতবিনিময় করেন।
তবে ‘ডিগবাজি’ স্বভাবের কারণে নাজমুল হুদাকে জোটে নিতে অন্য দলগুলোর আপত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment