একুশে মিডিয়া, বরগুনা রিপোর্ট:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার এলজিইডি অফিসের হিসাবে গরমিল এবং ঘুষের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রকৌশলী ও হিসাবরক্ষকের মধ্যে জুতা ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী আজিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি কেটে দেন। তবে হিসাবরক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অফিসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সমাপ্ত কাজের বিলের টাকা তুলতে ঘুষ দিতে হয়েছে ঠিকাদারদের। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আজিজুর রহমান ও নারায়ণ চন্দ্র বিভিন্ন কাজের ফাইল ও ঘুষের টাকা হিসাব করেন। ফাইল ও টাকার হিসাবের গরমিল নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আজিজুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা ছুড়ে মারেন নারায়ণ চন্দ্রের গায়ে। উত্তেজিত হয়ে নারায়ণ চন্দ্রও জুতা হাতে নেন। তখন মামুন নামের এক কর্মচারী তাকে বাধা দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা হাবিবুর রহমান রিয়াজ নামের এক ঠিকাদার তাদেরকে থামান। পরদিন অফিসে পাওয়া যায়নি আজিজুর রহমানকে।
এই বিষয়ে হাবিবুর রহমান রিয়াজ বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি এলজিইডি অফিসে গিয়েছিলাম। তখন আজিজুর রহমান এবং নারায়ণ চন্দ্রকে কথা বলতে শুনি। একপর্যায়ে নারায়ণ চন্দ্র বলেন, স্যার ব্যবহার ভালো করেন। সবার কিন্তু মানসম্মান আছে। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আজিজুর রহমান তার বাবার বয়সী নারায়ণ চন্দ্রের গায়ে জুতা ছুড়ে মারেন। নারায়ণ চন্দ্রও জুতা হাতে নেন কিন্তু মামুন তাকে থামান।
হিসাবরক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বলেন, সামান্য একটি ফাইলের বিষয় নিয়ে আমার গায়ে জুতা ছুড়ে মারেন আজিজুর রহমান। বিষয়টি আমি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, বিষটি আমি শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment