অবশেষে বেরিয়ে আসলো যে কারণে খুন হল সেই অভিনেত্রী-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 31 July 2018

অবশেষে বেরিয়ে আসলো যে কারণে খুন হল সেই অভিনেত্রী-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, বিনোদন রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের গোগনগর এলাকা থেকে সোমবার মধ্য রাতে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মাহমুদা আক্তার (৩০)। তিনি শহরের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার আক্কাছ আলীর মেয়ে। শহরের উকিলপাড়া এলাকার “টপটেন” নামের একটি মেগামলের বিক্রয়কর্মী ছিলেন তিনি। ইতিপূর্বে তিনি একাধিক শর্টফিল্মেও কাজ করেছিলেন বলে বলে জানা গেছে। তার পরিচয়পত্র থেকে পুলিশ এসব তথ্য উদঘাটন করেছে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।
সোমবার রাতে গোগনগর আলামীননগর এলাকার মোহাম্মদ আলী আকবরের তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে পঁচা দূর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে জানরায়। পরে পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজার বাইরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে এক অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ওই নারীর ফ্ল্যাট তল্লাশি করে উদ্ধার হয় তার একটি পরিচয়পত্র। সেই পরিচয়পত্রের সূত্র ধরেই পুলিশ তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মাহমুদার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় আসেনি। তার বাবার বাসায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
সদর মডেল থানার ওসি জানান, ইতিপূর্বে মাহমুদার বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারের ৭ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বয়ফ্রেন্ডকে স্বামী পরিচয় দিয়ে আলামীননগর এলাকার মোহাম্মদ আলী আকবরের বাড়ির এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন মাহমুদা। ধারণা করা হচ্ছে, দুই/তিনদিন আগে দ্বিতীয় স্বামী মাহমুদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে তার সেই কথিত স্বামীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পুলিশ তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে মাহমুদার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে তদন্তের পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তবে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদার বাবা আক্কাছ আলী নাগবাড়ি এলাকার ডায়াবেটিস হাসপাতালের একজন নিরাপত্তা প্রহরী। মডেলিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়া মাহমুদা ছিলেন অত্যন্ত উচ্চবিলাসী। তার জীবন যাপনও ছিলো সেই ধরনের। ধারণা করা হচ্ছে কোনো রাজনীতিক কিংবা মিডিয়া সংশ্লিষ্ট কারো প্রলোভনে পড়ে মাহমুদা স্বামী সন্তান ফেলে ওই ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে লিভ টুগেদার করতেন। যার কারনে মা-বাবাসহ পরিবারের কেউই তার সাথে কোন সর্ম্পক রাখেননি।
এলাকাবাসীর ধারণা, উচ্চবিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত মাহমুদাকে প্রায় সময় রাজনৈতিক নেতাদের উপিস্থিতিতে বিভিন্ন সভায়ও অংশগ্রহন করতে দেখে গেছে। তবে সঠিক তদন্ত আর মাহমুদার কললিস্ট চেক করলেই এই হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages