একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম, ১৮ জুলাই ২০১৮ পিএম রিপোর্ট:
অসম প্রতিযোগিতা থেকে চট্টগ্রামকে বাঁচাতে সারাদেশে আন্তঃজেলা মহাসড়কগুলোতে একযোগে ওজন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে স্কেল স্থগিত রাখার দাবী জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে ওজন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই দাবী জানানো হয়। মতবিনিময়কালে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-শত প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকির মধ্যেও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বিগত ৪৭ বছরে চট্টগ্রাম তথা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পায়ন ও উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টর বিশাল অবদান রেখে আসছে এবং এক্ষেত্রে সরকার ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করছে।
কিন্তু শুধুমাত্র চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ১৩ টন ওজনের বাধ্যবাধকতার কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদেরকে অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন না করতে সারা দেশের আন্তঃজেলা মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল স্থাপন না করা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ বন্ধ রাখার দাবী জানান চিটাগাং চেম্বার সভাপতি।
তিনি আরো বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন যার ফলে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকারের অধীনে অত্র অঞ্চলে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
তাই প্রয়োজনে সামগ্রিক বাস্তবায়নগত বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি সাক্ষাতপূর্বক অনুরোধ জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন। একই সাথে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের মিরসরাইয়ে অবস্থিত ভ্যাট তল্লাশি কেন্দ্রও অনুরূপ বৈষম্যের প্রতিফলন। সারাদেশে এ ব্যবস্থা একসাথে বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতের আহবান জানান। পাশাপাশি এ সকল সমস্যা সম্পর্কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দও অবহিত আছেন তাই বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐতিহ্য রক্ষা ও বৈষম্য দূরীকরণে তাঁরা সমন্বিতভাবে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মাহবুবুল আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
চিটাগাং চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ বলেন-চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের এখন “চট্টগ্রাম বাঁচাও দেশ বাঁচাও” শ্লোগানকে সামনে রেখে কর্মসূচী পালন করতে হবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে একটি খোলা চিঠি প্রেরণের কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে রশিদ বক্তব্য রাখেন সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন’র সভাপতি এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ, প্রাইম মুভার ওনার্স এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক, সল্ট মিল মালিক সমিতির সভাপতি এম এন কবির, চিটাগাং চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম, বিজিএপিএমইএ’র পরিচালক কে.এইচ. লতিফুর রহমান (আজিম), চাকতাই শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি হারুনুর রশিদ, ডাল মিল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম মহিউদ্দিন (মুহিম), সিএন্ডএফ’র ১ম যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, চট্টগ্রাম ফ্রেশ ফ্রুটস ভেজিট্যাবলস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন’র সভাপতি মাহবুব রানা, আন্তঃজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান (রুবেল), ক্যাব সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার সাবেরী, জিপিএইচ ইস্পাত’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, কনফিডেন্স সিমেন্ট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, বৃহত্তর শাহ আমানত সেতু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম, মাঝিরঘাট সার পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সভাপতি হারুনুর প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment