![]() |
একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
চট্টগ্রাম সদর রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স অফিস এখন ঘুষ বাণিজ্যে ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়েছে। জমি, বায়নামা, হেবা, অছিয়ত নামা, পাওয়ার এটর্নি নামে দলিল তৈরী করণ অংশনামা, চুক্তিনামা, ঘোষনা পত্র, পুরাতন দালান পৈত্রিক সম্পত্তির উপর নির্মিত দালান গৃহ নির্মাণ ফ্ল্যাট বাড়ি হিসাবে উল্লেখ করিয়া নানা রকম টেক্স আদায় করার নামে অবৈধ ভাবে ঘুষ গ্রহণ যার পরিমান ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ পর্যন্ত মোটা অংকের বিনিময়ে হয়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘুষ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি করে নেন ৬/৭ জনের একটি সিন্ডিকেট।
অতিষ্ঠ ও হয়রানি স্বীকার হয়ে পড়েছে রেজিষ্ট্রি অফিসে আসা জমি ক্রেতা বিক্রেতারা। চুক্তির মাধ্যেমে জমি রেজিষ্ট্রির নামে ২/৩ লক্ষ টাকা সাব-কবলা প্রতি দলিলে লাখে ১০০০/- টাকা, হেবা পাওয়ার অছিয়ত অংশনামা প্রতি দলিলে বিশ থেকে সত্তর হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায় সদর রেজিষ্ট্রি অফিসের মূল হোতা সহকারী এরাদুল হক ভুেট্টা। সদর রেজিষ্ট্রি অফিসের এরাদুল হক ভুট্টোর নাম শুনলে চমকে উঠেন জমির মালিকগণ।
এরাদুল হক ভূট্টো এবং ভূট্টো বাহিনীর প্রধান এক্সট্রা মোহরার আরাফাত গঙ্গদের হাতে দলিল লেখক এবং ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই জিম্মি হয়ে পড়েছে।ক্রেতা বিক্রেতা দলিল লেখক গংদেরকে খারাপ ব্যবহার ও মারধরের হুমকি প্রদান করতে থাকে।
এক্সট্রা মোহরার কাজ হলো সরকারি বালাম লিখা ও দলিলের নকল কপি লিখা কিন্তু ঐ সমস্ত কাজ বাদ দিয়ে দলিল লিখার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সদর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ আনোয়ার থাকাকালিন দলিল রেজিস্ট্রি করার এক বছরের মধ্যে মূল দলিল গ্রহীতা বরাবরে প্রদান করা হতো বর্তমানে ২০১২ সালের দলিল গ্রহীতা বরাবরে প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
এতে জমির ক্রেতাগন সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলেই ভূট্টো-আরাফাত বাহিনীর জমির মালিকগনদের উপর চড়াও হয়।সদর রেজিস্ট্রেশন কম্পলেক্স জনসাধারনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরেজমিনে দেখা যায় কমপ্লেক্সের নীচ তলায় জেলা রেজিস্ট্রার অফিস রয়েছে জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ শাহেদের রুমের পূর্ব পাশে একটি ভাতের হোটেল খোলা হয় জানা যায় সেই হোটেল এরাদুল হক ভূট্টোর নির্দেশে গত পাঁচ বছর যাবত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারি দপ্তরের ভিতরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিহীন কি করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তা জনগনের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর আবীরভাব ঘটে এরাদুলহক ভুট্টোর।
একি অফিসে বিগত ৮/৯ বছর ঘুষ বাণিজ্যের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই সহকারীর বিরুদ্ধে গত বছর একাধিক অভিযোগ উঠে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ঘুষ দূর্নীতি নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলে (স্ট্যন্ড রিলিজ) সকালে বদলির আদেশ আসলে বিকালে তা উধাও হয়ে যায়। বহাল তবিয়তে নিশ্চিন্তে চালিয়ে যাচ্ছে তার ঘুষ দূর্নীতির যতসব অপকর্ম। আর অন্যদিকে ভোগান্তিতে ভুগছে কাজে আসা সাধারণরা। মুখ খোলার কোন উপায় নেই। ভূট্টোর ইশারায় চলে সবকিছু, কর্মচারীরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না। প্রতিবাদ করার কারো সাহস নাই।
উপরোক্ত কর্মকর্তারা সব কিছু জেনে ও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থ নিচ্ছছেনা বলে ও অভিযোগ উঠছে। এরাদুল হক ভুট্টো প্রকাশ্যে নাকি বলে থাকেন, আমার বাড়ি মিরশ্বরাই মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন যতক্ষণ আছে আমিও এই অফিসে বহাল তবিয়তে থাকব।
এক চুল পরিমাণ নাড়ানোর কারো ক্ষমতা নাই। আমি এই অফিসে যা ঘুষ খাই একা খাই না উপরের সব বাবুদের ভাগ দিয়ে খাই। এরাদুল হক ভুট্টো সহকারী হয়েও তার নিজেস্ব ২৬ লাখ টাকার দামের প্রাইভেটকার চড়ে অফিসে যাতায়াত করেন এবং স্ত্রীর জন্য ও রয়েছে আলাদা আরেকটি প্রাইভেটকার। থাকেন চট্টগ্রাম শহরে অভিজাত এলাকায় ৩০ হাজার টাকায় ভাড়ায় ফ্লাটে। ড্রাইভার বেতন ১৫ হাজার টাকা। গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পত্তি।
আইনজীবী দোয়েল ভবনে স্ত্রীর নামে ২১ নং দোকান, ফিরোজ শাহ কলোনীতে ২টি প্লট,বিশ্ব কলোনীতে ২টি প্লট রয়েছে। মিরশ্বরাইতে তার স্ত্রীর নামে ২ একর জায়গা ও পৈারসভা মার্কেটে কয়েকটি দোকান রয়েছে। মিরশ্বরাই ভ‚মি অফিসে খোজ নিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এরাদুল হক ভ‚ট্টোর প্রতিদিন পকেটে ৫০ হাজার টাকা না ঢুকলেই মাথা গরম থাকে, মাসে ১৫ লক্ষ টাকা ইনকাম থাকতে হবে। গত ১১ মার্চ দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকায় “চট্টগ্রাম সদর রেজিষ্ট্রার কমপ্লেক্স ঘুষ বানিজ্য” শিরোনমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। একুশে মিডিয়া।




No comments:
Post a Comment