![]() |
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন- কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি রোধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ কামালের ৭০তম জন্মদিন’উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ কামালের জন্মদিনে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নও করেছেন। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা যেন ঐকমত্য পোষণ করি। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন- মিডিয়া হচ্ছে দেশের চতুর্থ অঙ্গ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে দুষ্কৃতকারীরা আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা করেছে। সে হামলায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। অনেকে লাইভে এসেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন, তা কিছু গণমাধ্যম প্রকাশ করেনি। কয়েকটি খবরের কাগজ এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ সেই হামলা শিক্ষার্থীরা করেনি, করেছে শিক্ষার্থী ছদ্মবেশে বিএনপি-জামায়াত। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকতে পারে না। অথচ সেখানে গুলি করা হয়েছে। তাই সকল গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব সঠিক ও বাস্তবধর্মী সংবাদ উপস্থাপন করার জন্য।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন- শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত অনুপ্রবেশ করেছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেয়ার পর আমরা তাদের বারবার আহ্বান জানিয়েছি ঘরে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এবং ১/১১ এর কুশীলবরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ঘরে ফিরতে দেয়নি।
তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যারা হামলা চালিয়েছে, আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি তারা শিক্ষার্থী নয়। তারা শিক্ষার্থী হতে পারে না। স্কুলের হাজার হাজার ড্রেস বিক্রি হয়েছে। যারা বিক্রি করেছে, তারাই বিস্মিত এতো ড্রেস কেন বিক্রি হচ্ছে। নীলক্ষেতে হাজার হাজার নকল আইডি কার্ড বানিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ অলিম্পিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment