একুশে মিডিয়া, এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বিজয়করা স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণির ছাত্রী লুইফা আক্তারকে তুচ্ছ কারণে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন মহি উদ্দিন নামের এক শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে
বিদ্যালয় সূত্রে অভিযোগে জানা গেছে, গত রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক মহি উদ্দিন নবম শ্রেণির একটি বিষয় পড়াতে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর তার ব্যবহৃত মোবাইলে একটি কল আসে। এ সময় তিনি হাতে থাকা বইটি লুইফা আক্তারের টেবিলে রেখে দেন। হঠাৎ করে বইটি নিচে পড়ে যায়। কথা বলা শেষে শিক্ষক বইটি খোঁজ করেন। কিন্তু কোন ছাত্র-ছাত্রী তা স্বীকার করেনি। কিছুক্ষণ পর বইটি লুইফার টেবিলের পাশে পাওয়া যায়।
এতে ক্ষীপ্ত হয়ে শিক্ষক মহি উদ্দিন লুইফাকে বেত্রাঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত করে জখম করে। খবর পেয়ে অধ্যক্ষ বায়েজীদ বোস্তামী ঘটনাস্থলে গিয়ে উল্টো ছাত্রীকে ধমক দেন। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার শেষে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আহত ছাত্রী লুইফা উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের গাংরা গ্রামের আবু বকরের মেয়ে।
এ নিয়ে পরদিন (সোমবার) ২৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে একটি বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক মহিউদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আহত ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা করা হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু মেয়ের পরিবার ওই ৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেনি বলেও নিশ্চিত করেছে ছাত্রী লুইফার এক নিকটাত্মীয়।অভিযুক্ত শিক্ষক মহিউদ্দিন এর সাথে মোবাইলে আলাপ করার চেষ্টা কালে উনি সাংবাদিক শুনে লাইন টি কেটে দেওয়ার পলে শিক্ষক এর কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment