![]() |
একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
দুই লক্ষ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় এক ব্যাক্তিকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আকবরশাহ থানার ওসি জসিম উদ্দিনসহ থানার ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন রুবি বেগম নামে এক নারী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে ক্ষমতার অপব্যবহারের এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলো, আকবর শাহ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন ও মো. আশহাদুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক ( এএসআই) সাইফুল ইসলাম ও আবু বক্কর সিদ্দিক এবং কনস্টেবল মো. নুরুল ইসলাম।
মামলা বাদী রুবি বেগম একুশে মিডিয়াকে জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৫তারিখ ইবরাহীম নামে আমাদের এক প্রতিবেশী বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে আহত হয়। তখন আমার স্বামী আলমগীরসহ আমরা এলাকার লোকজন তাকে আল আমিন হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার অবস্থা বেশি খারাপ হওয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলে। আমরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে নেয়ার পর ইবরাহীম মারা যায।
সেই দিন রাত ১০টায় মেডিকেলের পুলিশ আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে আটক করে। আমাদের বলা হয় ইবরাহীম হত্যা মামলায় সে জড়িত। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে রাতে তাকে আকবরশাহ থানায় আনা হয়। সেই দিন রাতে আমার স্বামীর সাথে আমাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। পরদিন সকালে আমরা নাস্তা দিতে গেলে আমার স্বামী বলে পুলিশ দুই লক্ষ টাকা চাইছে। না দিলে আমাকে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করায় সেই দিন বিকেলে একটি অস্ত্র মামলায় আসামী করে আমার স্বামী আলমগীরকে আদালতে প্রেরণ করে।
বাদির আইনজীবী ফজলুল করিম ভু্ঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে একুশে মিডিয়াকে বলেন, আলমগীরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কারন নিহত ইবরাহীমের স্ত্রীসহ আলমগীর ও স্থানীয়রা তাকে আল আমিন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল সেটা সিসি টিভি ক্যামরা দেখা গেছে।
আবার আলমগীরকে যে থানায় আনা হয়েছে ও বাহির করা হয়েছে সেটাও সিসি টিভি ক্যামরায় রেকর্ড রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আকবরশাহ থানার ওসি জসিম উদ্দিনসহ ছয় পু্লিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মহানগর স্পেশাল জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন রুবি বেগম।
আদালত মামলা গ্রহণ করে ২৪ অক্টোবর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। তিনি আরো বলেন, বাদীনি এই মামলাটি তদন্ত করার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি আবেদনপত্র দিয়েছে। সেটাও তদন্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি জসিম উদ্দিন একুশে মিডিয়াকে বলেন, যে নারী বাদী হয়ে মামলা করেছে তার ভাই নুরুল আলম নুরু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভুমিদস্যূ। আর আলমগীর হচ্ছে নূরুর ভগ্নিপতি এবং সহযোগী। নুরুর বিরুদ্ধে পাহাড়কাটার মামলা সহ ১৫/১৬টি মামলা এবং তার সহযোগী আলমীগের বিরুদ্ধে লক্ষিপুরে একটিসহ ৩টি মামলা রয়েছে। তারা তাদের অপকর্ম ঢাকা দিতে আমাদের গায়েল করার জন্য এ মামলা করেছে।
No comments:
Post a Comment