একুশে মিডিয়া, রবিউল ইসলাম,ঝিনাইদহ:>>>
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর শৈলেন কুমার (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের স্ত্রীর নাম রেবা রাণী ওরফে মায়া (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জে শহরের নীমতলা বাসস্টান্ডের থানা পাড়ায়। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। তারা ওই এলাকায় মোদাছের নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। নিহত শৈলেন কুমার পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ও ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোঃ হাসাসুজ্জামান। উপস্থি’ত ছিলেন কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুছ আলী।
নিহত শৈলেন কুমার কালীগঞ্জ উপজেলার কলাপাড়া গ্রামের যুগল দেবনাথের ছেলে। তার স্ত্রী রেবা রাণীর ওরফে মায়ার বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পারনান্দুয়ালী গ্রামে। তবে নিহত শৈলেন প্রায় ১৫ বছর আগেই গ্রাম ছেড়ে যশোর সদর উপজেলা সাত মাইল এলাকার বড় হৈবতপুর গ্রামের ¯স্থায়ীভাবে বসবাস করছিল। তিনি সর্বশেষ এই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা সূত্রে জানান গেছে, কয়েক বছর আগের নিহত শৈলেন কুমারের স্ত্রী ঘরের ছাদ থেকে পড়ে মারা যাওয়ার পর রেবা রাণীর সাথে বিয়ে হয়। এরপর কালীগঞ্জে এই ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু থাকতেন। তাদের সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন আগের পক্ষের এক ছেলে বিপ্লব কুমার। নিহতদের বাড়ির পাশেই বসবাস করে তার ভাইরা ভাই উত্তম ঠাকুর।
ঘটনা¯স্থলে গিয়ে দেখা যায় নিহত রেবা রাণীর মৃতদেহ তাদের শোয়ার ঘরের বেডের উপর পড়ে আছে। পাশের জানালার সাথে গলাই ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে তার স্বামী শৈলেন কুমার।
নিহত শৈলেনের ছেলে ট্রাকের হেল্পার বিপ্লব কুমার জানায়, দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করি। কিন্তু‘ সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে তাদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিই। তার ছেলে আরো জানায়, আমার বাবা ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক টাকা দেনা ছিল। যে কারনে প্রায়ই সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এই ঋণের কারণেই আমার বাবা মাকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় তার ছেলে বিপ্লব কুমার।
তবে কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী বলেছেন, স্ত্রীকে হত্যা করে তার স্বামী শৈলেন কুমার গলাই ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষনিক ভাবে বলতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment