একুশে মিডিয়া, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
পূর্ব ঘটনার জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনজন কর্মী আহত হন। বিবাদমান গ্রুপ দুইটি হলো প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী সিএফসি গ্রুপ ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী সিক্সটি নাইন গ্রুপ।
মঙ্গলবার ০৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টা থেকে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে রাত ৯টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেন পৌঁছালে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আহতরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ ইমন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম ও একই শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ইয়াছিন আরাফাত। তারা সবাই ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের কর্মী।
সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে পূর্ব ঘটনার জেরে সিএফসির এক কর্মীকে সিক্সটি নাইন কর্মীরা মারধর করে। এখবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে রাত ৯টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেন পৌঁছালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়।
এদিকে এ ঘটনার মাঝেই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিন রাউন্ড গুলির ছোঁড়ার শব্দ শোনা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আখতারুজ্জামান।
এ বিষয়ে সাবেক সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা জামান নূর বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
এদিকে সাবেক উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ক্যাম্পাসে চিহ্নিত মাদক মামলার আসামী ও নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িতরাই এ সব ঘটনার ইন্ধন দিচ্ছেন তাদের মদদেই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে। সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, তাদেরকে কোন ছাড় নাই। কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment