![]() |
সাজেদুল ইসলাম টিটু,পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনি ধি:>>>
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে সমীরণ নেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ১৯৬০ সালে উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। দমদমা গ্রামের মহীয়সি নারী সমীরণ নেছা বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করেন।
বালিঘাটা ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম আফজাল হোসেন সরকারসহ স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রখেন। ভাল ফলাফল ও পড়া লেখায় বিদ্যালয়টির সুনাম রয়েছে। এক সময় সহস্রাধীক শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত ছিল বিদ্যালয় অঙ্গন। বর্তমানে ৪শ ২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
আজও সুনামের সাথে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। ফলে অনেক সচেতন অভিভাবক এই বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তি করে থাকেন। উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থানের পরও শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে টিনশেডের ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে।
প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ের এসব ভবনের টিনে জং ধরেছে। পলেস্তারা খসে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ের মাঠে পার্শ্ববর্তী নর্দমার দুষিত পানি জমে থাকে। প্রাচীর না থাকায় বহিরাগতরা রাতে বিদ্যালয়ের ভিতরে মল মূত্র ত্যাগ করে। এছাড়া দলিল মূলে ২.৩ একর জমিরস্থলে রেকর্ড মূলে দখলে রয়েছে ১.৯২ একর।
নূর আমিন সাবু নামে এক অভিভাবক বলেন,বিদ্যালয় অঙ্গনে মানুষের মল মূত্র থাকলে শিশুদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।এই কারণে অনেক সময় তার মেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চায়না। তিনি আরো বলেন,ভাল পড়ালেখার কারণে কিন্ডার গার্টেনের পরিবর্তে ওই বিদ্যালয়ে আমার মেয়েকে ভর্তি করেছি।
সমীরণনেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বিদ্যালয় অঙ্গনে বহিরাগতদের মল মূত্র ত্যাগ করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও ড্রেন নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী জাহাঙ্গীর বলেন,শ্রেণি কক্ষ গুলি মেরামত করে ক্লাস চালানো হচ্ছে। নতুন ভবন ও প্রাচীর নির্মানের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment