উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ :>>>
২৭৪ নড়াইলে ১০ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ভাইরালের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নড়াইলের থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করেছে।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর মর্ডান একাডেমির ১০ম শ্রেনী শিক্ষার্থী (১৬) এর সাথে পাশ্ববর্তী নওখোলা গ্রামের মৃত গনি খাঁর ছেলে রহিম খাঁন (২২) এর মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের জের ধরে বিগত ২০১৮ সালের ১০ জুলাই অভিযুক্ত রহিম খাঁনসহ তার ৫ জন সহযোগি পরস্পর যোগসাজগে ওই শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে লোহাগড়া পৌর সভার কলেজ পাড়ায় রহিমের ফুফু হাজেরা বেগমের বাড়িতে নিয়ে রহিম ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা গোপনে মোবাইলের মাধ্যমে ধারণ করে। এ সময় রহিমের ফুফু হাজেরা বেগম বাড়িতে ছিলেন না।
ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলার জন্য রহিমসহ তার সহযোগিরা ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দেয়। এরপর ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে আসছিল ধর্ষক রহিমসহ তার সহযোগিরা।
ধর্ষক রহিমসহ তার সহযোগিদের ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি-ধামকি ও লোকলজ্জার ভয়ে ওই শিক্ষার্থী মুখ খোলেনি। অব্যহত হুমকির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী গত ২৪ এপ্রিল ধর্ষণ এবং ধর্ষনের ভিডিওর বিষয়টি শেষ পর্যন্ত তার পিতাকে অবহিত করতে বাধ্য হয়। এরপর তার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক রহিম ও তার সহযোগি স্বাধীন সরদার, ইমদাদ ফকির, রবিউল ইসলাম,তারিক মোল্যা ও শিশির শেখ কে আসামী করে লোহাগড়া থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২।
মামলা দায়েরের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার সন্ধ্যায় নড়াইলের লোহাগড়া থানা পুলিশ মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ধর্ষক রহিম খাঁনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত কওে, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, বলেন, ধর্ষক রহিমকে আটক করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment