![]() |
এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লায় গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় এর দাবীতে মামলা করে নানান হুমকির কবলে আছেন খাদিজা আক্তার খুকি নামের এক তরুণী। আদালত সূত্রে জানা যায় যে ধর্ষণের বিচার এবং গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে মনির হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন খাদিজা আক্তার খুকি নামের এক তরুণী।
কুমিল্লায় গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় এর দাবীতে মামলা করে নানান হুমকির কবলে আছেন খাদিজা আক্তার খুকি নামের এক তরুণী। আদালত সূত্রে জানা যায় যে ধর্ষণের বিচার এবং গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে মনির হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন খাদিজা আক্তার খুকি নামের এক তরুণী।
বিচারক মামলা আমলে নিয়ে লালমাই থানার ওসি কে
এফআইআর করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার বিবরন ও স্থানীয়দের
সাথে কথা বলে জানা গেছে, লালমাই উপজেলার ভুশ্চি উত্তর বাজারের ‘মেসার্স
মনির স্যানেটারী ইলেকট্রিক এন্ড হার্ডওয়ার’ এর মালিক স্থানীয় বেলঘর উত্তর
ইউনিয়নের সাধের কলমিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলের সাথে প্রায় দেড় বছর আগে
পরিচয় হয় ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের জামুয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা
খাদিজা আক্তার খুকির (১৭)। পরিচয়ের কিছুদিন পর দুজন প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর
খুকিকে বিয়ে করতে প্রস্তাব দেয় মনির। কিন্তু মনিরের স্ত্রী ও তিন সন্তান
থাকায় খুকির পরিবার এ প্রস্তাব নাকচ করে। গত বছরের শেষে দিকে খুকিকে একজন
প্রবাসী ছেলের কাছে বিয়ে দেয় তার পরিবার। তবে মনিরের সাথে গোপন সর্ম্পক
থাকায় কয়েকমাস পর সেই সংসার ভেঙ্গে যায়।এরপর মনির আশ্বাস দেয় খুকিকে বিয়ে
করে আলাদা সংসার করবে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে খুকির বাবার বাড়িতে যায়
মনির। বিয়ের প্রলোভনে খুকিকে ধর্ষণ করে। এরপর প্রায়ই খুকির বাড়িতে
রাত্রিযাপন করত মনির। এরই মধ্যে খুকি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ১৬ জুলাই
লাকসাম মেডিকেল সেন্টারের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে দেখা যায় খুকির পেটে ২১
সপ্তাহের বাচ্চা রয়েছে।এ খবর পেয়ে খুকিকে গর্ভপাত করতে চাপ দেয় মনির।
একপর্যায়ে মনিরের ওয়ার্ড মেম্বার আবু তাহের খুকির পরিবার কে ৩ লাখ ৬০ টাকার
বিনিময়ে বাচ্চা মেরে ফেলতে প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে খুকির কয়েক জন
আত্মীয় স্বজন একমত হলেও খুকি সরাসরি নাকচ করে দেয়। গত ২৫ জুলাই পরিবারের
সহায়তায় খুকি কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এ
মনির হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০
(সংশোধিত-২০০৩) ইং এর ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।মামলার অন্য আসামিরা
হলেন, মনিরের পিতা আবদুল মজিদ, মনিরের ভাই সহিদ মিয়া ও আবদুল বারিকের ছেলে
শহীদ মিয়া। বিচারক মামলা আমলে নিয়ে এফআইআর করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লালমাই
থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।এদিকে মামলা করার পরে থেকে মনিরের পক্ষের ভাড়াটিয়া
সন্ত্রাসীরা বাদীর পরিবারকে হুমকি–ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ভয়ে
বাদী খুকি বাড়িতে থাকতে সাহস পাচ্ছে না। সে আত্মীয়ের বাড়ি পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
খুকির পিতা শহিদুল ইসলাম নিজের মেয়ের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মনিরের পক্ষের লোকজন আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।বাদীর আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খুকির অনাগত সন্তানের অধিকার ফিরিয়ে পাওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াই করে যাব।
খুকির পিতা শহিদুল ইসলাম নিজের মেয়ের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মনিরের পক্ষের লোকজন আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।বাদীর আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খুকির অনাগত সন্তানের অধিকার ফিরিয়ে পাওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াই করে যাব।
বেলঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল
খায়ের মজুমদার বলেন, মনির আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার স্ত্রী-সন্তান
রয়েছে। ধর্ষণে জড়িত থাকলে তার বিচার হওয়া উচিত।লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ
বদরুল আলম তালুকদার বলেন, মামলা এফআইআর করতে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি।
তবে বাদী বা তার পক্ষের কেউ থানায় আসেনি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ




No comments:
Post a Comment