![]() |
এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের এই দেশে আবরার হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া না হলে স্বপ্নের এই দেশে আরো একটি কলংকিত অধ্যায় রচিত হবে বলে মন্তব্য করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত আকস্মিক মর্মাহত মৃত্যু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবসিক শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
![]() |
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আবরার হত্যার প্রতিবাদ করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,আবরার ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রথম শহীদ। নূর হোসেনের আন্তত্যাগের মধ্যে দিয়ে যেমন এদেশ থেকে স্বৈরচারী সরকারের পতন হয়েছে তেমনি আবরার ফাহাদের শহীদ হওয়ার মধ্যে দিয়ে এদেশ থেকে ভারতীয় আগ্রাসন দূর হবে।
আবরারসহ পূর্ব থেকে যত হত্যাকান্ড হয়েছে সবগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আরেফীন রফিক বলেন,আবরারকে হত্যাকারী কোন দলের মতের হতে পারেনা। হত্যাকারীরা যে দলেরই হোক না কেন বঙ্গবন্ধুর এদেশে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এদেশের ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে কেউ দাড়াঁতে পারেনি। এই অপশক্তিও দাড়াঁতে পারবে না।
জানা যায়, ৬ অক্টোবর আবরারকে রাত আটটার দিকে হলের একটি কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরাও গণমাধ্যম কর্মী রা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সম্মিলিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি, একটি দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করে সারাদেশ জুড়ে তোলপাড় হওয়া শোকের মাতম কে আইনি প্রক্রিয়ায় সহনশীল করতে অতি বিলম্ব না করে দ্রুত হত্যা করা আসামীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ





No comments:
Post a Comment