এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লায় একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজি জবর দখল থেকে শুরু করে নানা অপরাধে
অভিযুক্ত বহু মামলার আসামী মাহাবুব আলম কাঞ্চনকে আটক করেছে স্থানীয় জেলা
গোয়েন্দা পুলিশ। কুখ্যাত সন্ত্রাসীর গ্রেফতারের খবরে স্থানীয়দের মাঝে ফিরে
এসেছে স্বস্তি।
উল্লেখ্য হোমনা জনপদের আতংকের আরেক নাম হয়ে উঠেছিল মাহবুব
আলম কাঞ্চন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে অর্ধ
শিক্ষিত অশিক্ষিত যুবক ও কিশোরদের নিয়ে গড়ে তুলেছে অপরাধীদের নিজস্ব
চক্র ও গেং ।
অপরাধ চক্রের পালের গোদা কাঞ্চন হোমনা উপজেলার দুর্গাপুর
গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে। হত্যা, জবর দখল, চাঁদাবাজি, নীরহ মানুষ কে
নারীদের দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং এর পাশাপাশি মাদক ব্যবসাই ছিলো তার মূল
পেশা।
পেশিশক্তি ও অস্ত্রের মহড়া ও নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তিতাস
নদীর তীরবর্তী পল্লী এলাকা হোমনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধের রাজত্ব
গঠন করে চলেছিলো। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্না থানায় দায়েরকৃত
অস্ত্র, হত্যা, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মত প্রায় ১০ থেকে ১২ টি মামলা বিজ্ঞ
আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এলাকায় ভোক্তভুগি জনসাধারণ ভয়ে তার বিরুদ্ধে
অভিযোগও করতে সাহস করেন না। সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তার
বিরুদ্ধে গোপন একাধিক অভিযোগ আসার পর তদন্ত নেমে সত্যতা পায় কুমিল্লা জেলা
গোয়েন্দা পুলিশের চৌকস এলআইসি টিম।
অবশেষে হোমনা সার্কেলের সার্বিক
সহায়তায় জেলা ডিবি পুলিশের এলআইসি টিম গতকাল ১৪ই জুলাই সকালে দেশীয় তৈরী
পাইপগান, তিন রাউন্ড কার্তুজ এবং ২৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক করে
দুর্ধর্ষ কাঞ্চনকে। হোমনার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কুখ্যাত
মাহবুব কাঞ্চনের গ্রেফতারে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে
জানিয়েছেন এলকার জনসাধারণ।গ্রেপ্তার এর বিষয় টি নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা
পুলিশের এসআই পরিমল দাস।
এসময় তিনি জানান তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি সহ
১০-১২টি বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের মমলা বিচারাধীন রয়েছে। এলাকায় ত্রাসের
রাজত্ব কায়েম করে চলেছিলো। দীর্ঘদিন ধরেই তার গতিবিধি অনুসরণ করছিলো আমাদের
টিমের সদস্যরা।
গতকাল ভোর আনুমানিক ৫টায় তাকে ইয়াবা সহ আটকের পর
জিগ্যাসাবাদে ঘাগুটিয়া পাড়া ইউপি এলাকার দড়ির চর গ্রামের ডাঃ মইন এর
দোকানের পেছনে পাইপগান ও কার্তুজ লুকানো রয়েছে বলে স্বীকার করে।
পরে তার
দেখানো জায়গা থেকে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার
করা হয়। এবিষয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে আসামীকে আদালতে প্রেরণ
করা হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment