সাইদ সাজু, তানোর থেকে :ই-একুশে মিডিয়া
আর কয়েকদিন পর মুসলিম উম্মার সর্বোবৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। একমাস সিয়াম সাধনার পরে আসে এই দিনটি। বরাবরের মত দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সকলে নেতা ও জনপ্রতিনিধি দের কাছে ঈদ সালামী নিয়ে থাকেন। কিন্তু এবারে রাজশাহীর তানোরে নেতাকর্মী দের সালামি না দিতে নেতা ও জনপ্রতিনিধি রা মোবাইল ফোন বন্ধ করে একপ্রকার আত্মগোপনে। অথচ দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন এতিম খানা ও হাফেজ খানা ও ছিন্নমুল মানুষের মাঝে বিগত এক সপ্তাহ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন।
স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর পক্ষে পাঞ্জাবীসহ ঈদ সামগ্রী বিতরন অব্যাহত রেখেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরুন শিল্পপতি আবুল বাসার সুজন। যার ফলে উপজেলা বাসীর কাছে মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সবকিছুই তিনি নিজের অর্থায়নে করছেন।
জান গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোন ইফতার পার্টি করা যাবে না। এর পরিবর্তে অসহায় গরীবদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরনের নির্দেশ দেওয়া হয় দলীয় ভাবে। সে মোতাবেক পুরো রমজান মাস জুড়ে উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে, হাট বাজারে প্রতিদিন সাংসদের পক্ষে ইফতার বিতরন করেন আবুল বাসার সুজন। শুধু উপজেলায় না রাজশাহী শহরে নিয়োমিত সাহারী বিতরন করেছেন ছিন্নমুল মানুষের মাঝে।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, আবুল বাসার সুজন কোন জনপ্রতিনিধি বা কোন পদে নেই। কোন পদে না থেকে ইফতার বিতরন করে আপামর জনতার প্রানের নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। মুলত বিগত পৌর নির্বাচনের আগে সাংসদ সুজনকে তানোরের রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। সাংসদের যতগুলো রাজনৈতিক কর্মকান্ড আছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার সুজনকে রাজনীতিতে নিয়ে আসা বলে মনে করেন আপামর জনতা। শুধু ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরনের মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি সুজন। উপজেলার কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে শহরে কিংবা উপজেলা হাসপাতালে আছেন এমন সংবাদ পাওয়া মাত্রই মেডিকেলে ছুটে গিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের লিখাপড়ায় উজ্জিত করতে স্মার্ট ফোন সহ নানা কিছু উপহার প্রদান করেছেন। টাকার অভাবে নামিদামি কলেজে ভর্তি হতে না পারলে সুজন তার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। এখানেই শেষ না উপজেলার অনেকে তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন যা সবার জানা।
উপজেলা বাসী জানান, যারা পদপদবি নিয়ে ও জনপ্রতিনিধি হয়ে আছেন তাদের এখন লাগাল পাওয়া যায় না। এমনকি তাদের ব্যবহিত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্ত সুজন প্রায় প্রতিদিন এলাকায় আসছেন দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ছিন্নমুল মানুষের খোজ খবর নিচ্ছেন। সুজনের চেয়ে অনেক টাকা ওয়ালা নেতা জনপ্রতিনিধি আছেন,কিন্তু মন নেই। শুধু টাকা ক্ষমতা থাকলে হয় না, উদার মনের মানুষ ও সহযোগীতার মানসিকতা থাকতে হয়। তানোর পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের নৈশ প্রহরীরদের ঈদ উপহার দিয়ে থাকেন। তিনি সহযোগিতা করে বলেন আমার পিতা মাতা ও পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আমি যা করি মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করি।
উপজেলা কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, সুজন একজন বড় মনের মানুষ। তার সম্পর্কে জানতে হলে তার কাছে আসতে হবে। প্রতিটি সময় তার উপর জনগনের যেভাবে লোড আসে তা সবার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব । দিনরাত তার একটায় চিন্তা অসহায় দরিদ্র ও দলীয় নেতাকর্মী দের নিয়ে। এমন বড় মনের মানুষ পাওয়া কষ্টকর ব্যাপার। তার সবকিছুই সৃষ্টি কর্তাকে সন্তুষ্টির জন্য। তার মা রোজার আগে মারা গেছে। সবাই তার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। তরুন শিল্পপতি আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বাসার সুজন জানান, মানুষ মানেই মরনশীল, মৃত্যুর সাদ সবাইকে গ্রহন করতে হবে। বেচে থাকার জন্য ধন সম্পদ টাকা পয়সার প্রয়োজন আছে। কিন্তু মারা গেলে সব থেকে যাবে।
ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে যদি তার সন্তোষ অর্জন করা যায়, সেটাই বড় পাওয়া। আমি যা কিছুই করছি এমপির পক্ষে মহান রবের সন্তোষ অর্জনের জন্য।
আর মহান আল্লাহর অশেষ রহমত না থাকলে এসব করা যায় না। যদিও আমার একটা ইচ্ছে আছে সুযোগ হলে কিংবা দল চাইলে তানোর পৌরসভার ভোটে অংশ নেওয়া।
না পারলেও আমি জনগণের মাঝে যে ভাবে আছি মহান রব যেন আমাকে এভাবেই রাখেন।
বিশেষ করে আমার মা মারা গেছেন, সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়ায় মহান রব যেন মাকে জান্নাত বাসী করেন।
আমি যতদিন বেচে থাকব মহান আল্লাহ যেন আমাকে সেবা মুলুক কাজ করার তাওফিক দান করেন। সবাইকে তিনি অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment