মোহাম্মদ ওমরফারুক, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান-প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজ-এর নবম শ্রেণির মেধাবী এক ছাত্রী আর্থিক সংকটের কারণে বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণে হিমশিম খাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সমাজসেবক মো. নাসির উদ্দীনের সহযোগিতায় তিনি আবার পড়ালেখার স্বপ্ন দেখতে সক্ষম হলেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই শিক্ষার্থীর পিতা একজন রিকশাচালক। সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি দুই মেয়ের পড়ালেখার খরচ যোগাতে গিয়ে তিনি দারুণ সংকটে পড়েন। ধার-দেনা করে কয়েকদিন আগে বড় মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে সক্ষম হলেও ছোট মেয়ে—নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা জোগাড় করতে পারেননি।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৪ সেপ্টেম্বর ফরম পূরণের শেষ তারিখ ঘোষণা করলে টাকার ব্যবস্থা করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি জেনে কাঁদতে কাঁদতে পড়ালেখা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায় ছাত্রীটি।
বিষয়টি লোকমুখে জানতে পেরে এগিয়ে আসেন দোহাজারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও সমাজসেবক মো. নাসির উদ্দীন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জামিজুরী এলাকায় তাঁর নিজ বাসভবনে মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর হাতে ফরম পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তুলে দেন তিনি।
সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতায় আবেগাপ্লুত হয়ে শিক্ষার্থীটি বলেন- "আমার পরিবারের পক্ষে পড়ালেখার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। আমি ভেবেছিলাম পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু নাসির আঙ্কেল আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফরম পূরণের টাকা দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি মহান আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য দোয়া করি।"
মো. নাসির উদ্দীন বলেন- "আমি দীর্ঘদিন ধরে মানবিক ও সেবামূলক কার্যক্রম করে আসছি। আজ মেধাবী ওই শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান দিয়েছি। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস হয়তো তার জন্য নতুন আশার দ্বার খুলে দেবে। সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানাই- দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান, যাতে অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ না হয়ে যায়।"
আর্থিক অনুদান প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- আমিনুল হক, মীর কাশেম, খোরশেদ আলম, তমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment