![]() |
একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১২ আগস্ট এ বিষয়ে আদেশ দিবে আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, অসুস্থতা তাঁর (খালেদা) নিত্যসঙ্গী। প্যারাসিটামল ছাড়া কোনো ওষুধ খাচ্ছেন না। সরকার তাঁর চিকিৎসা করাতে চায়, কিন্তু তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া রাজি হচ্ছেন না। এখন যে ধরনের অসুস্থতার কথা বলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হচ্ছে, এমন অসুস্থতা নিয়েই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গাড়ি পুড়িয়ে কুমিল্লার নাশকতায় ৭ জন লোককে পুড়িয়ে মারা হলো। সাধারণ মানুষের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? একজন হত্যা মামলার আসামিকে কোনোভাবে জামিন দেয়া ঠিক হবে না।
জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, মাই লর্ড, নাশকতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ঘটনার সময় খালেদা জিয়া গুলশান অফিসে বন্দি ছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসব মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়। তিনি অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা পর্যন্ত করানো হচ্ছে না। নারী ও অসুস্থ বিবেচনায় তাঁকে হাইকোর্ট জামিন দেয়া হয়েছে। মাই লর্ড, এ বিবেচনায় আমরা আশা করি তাঁকে জামিন দেবেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আটজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয়জন নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা যান, পাঁচজনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অন্য ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন।
গত ১৭ জুলাই এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই দিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেছিলেন, এ মামলায় গত ১ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য ৮ আগস্ট বহাল রাখে কুমিল্লার আদালত। এর পর খালেদা জিয়া হাইকোর্টে এ মামলায় আবেদন করে জামিন চেয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment