ফেইসবুকে লাইক দিয়ে শুরু,অবশেষে প্রেম,সর্বশেষে ব্রাজিল থেকে কুমিল্লায় বিয়ে-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 6 November 2018

ফেইসবুকে লাইক দিয়ে শুরু,অবশেষে প্রেম,সর্বশেষে ব্রাজিল থেকে কুমিল্লায় বিয়ে-একুশে মিডিয়া



একুশে মিডিয়া, এম এ হাসান, কুমিল্লা:
সামাজিক যোগাযোগ এর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেইসবুক, নানা রকমারি ঘটনার জন্ম দেওয়া এই ফেইসবুক এর বিশেষ কারনে সুদূর আমেরিকা মহাদেশের দেশ ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে বিয়ের পিড়িতে বসলেন এলেন জুলিয়ানা।
জানা যায়, প্রবাসে থাকাকালে দেখা, তারপর ফেসবুকে যোগাযোগ, এরপর শুরু হয় প্রেম। সেই প্রেমের টানে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল থেকে বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লায় প্রেমিকের বাড়িতে চলে এলেন জুলিয়ানা। একসঙ্গে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে বিয়েও করে ফেললেন প্রেমিককে।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার দোখাইয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছোট ছেলে আবদুর রব হিরুর সঙ্গে জুলিয়ানার এই বিয়ে এখন ওই এলাকার মানুষের মুখে মুখে।হিরুর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সিলেট মদনমোহন কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শেষবর্ষে পড়ার সময় জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমাই বাহরাইনে।
সেখানে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা সেন্টারে ২০১২ সালের ৬ জুলাই আমার সঙ্গে জুলিয়ানার পরিচয় হয়। পরে ফেসবুকে জুলিয়ানার আইডিতে লাইক দেই, সেও আমাকে লাইক দিতো। এভাবেই শুরু হয় মেসেজ আদান-প্রদান ও কথাবার্তা। এক সময় তা প্রেমে রূপ নেয়।’
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জুলিয়ানার সঙ্গে হিরুর বিয়ের কথাবার্তা শুরু হয়। জুলিয়ানা তার বাবা মারকোস জিয়ানিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩১ অক্টোবর বাবা-মেয়ে দু’জন বাংলাদেশে আসেন।
ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে তাদের স্বাগত জানিয়ে আনেন হিরু ও তার স্বজনরা।হিরু বলেন, ‘পরে কাকরাইল কাজী অফিসে গেলে জুলিয়ানা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং আমরা ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করি। এরপর মিরপুর-২ নম্বরে একটি ভাড়া বাসায় উঠি। গত সপ্তাহে জুলিয়ানা ও তার বাবাকে নিয়ে আমি কুমিল্লার লাকসামের নিজ বাড়িতে আসি। আমরা ভালো আছি।
জুলিয়ানা কিছু বাংলা বলতে শিখেছে। আমাদের পরিবার এই সম্পর্ক নিয়ে খুবই খুশি।’দুই মহাদেশের দুই তরুণ-তরুণীকে এক করে দেওয়া প্রেমই যেন এখন এলাকার আলোচনার প্রধান বিষয়। বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষ হিরুর স্ত্রীকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।হিরুর বাবা আবুল খায়ের বধূবরণ উপলক্ষে গত ১ নভেম্বর ৩০০ লোকের মেজবানির আয়োজন করেন।
স্থানীয় এক ব্যক্তি অটোরিকশা নিয়ে ওই নবদম্পতিকে আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখান। জুলিয়ানার বাবা জিয়ানিংও আনন্দে অটোরিকশার চালকে আসনে বসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নবদম্পতিকে নিয়ে তিনিও আনন্দের কথা জানিয়েছেন সবাইকে।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages