![]() |
একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার-ঢাকা:
ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। যে দলই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা উচিত। জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার গণভবনের ব্যাংকুইট হলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং ২৪টি রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরুর পর সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপ শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকুইট হলে প্রবেশ করলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এ্যালায়েন্স প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাসহ ২৪ দলের নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যাপক সাফল্যের বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে দেশে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির হার কমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। দেশের দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশে আনতে সক্ষম হয়েছি। এসব সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার কারণে এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার দল পরিবর্তনের সনদ (চার্টার অব চেঞ্জ) ঘোষণা করেছিল। ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ওই সনদ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতা ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে স্থল-সীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ও সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র-সীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। দেশ কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ জয় করেছে।
নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস নির্যাতন-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র ২০০১-২০০৫ পর্যন্ত দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ১৯৭১ সালে যে ধরনের অত্যাচার নিপীড়ন করেছে তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর সেই ধরনের নির্যাতন চালিয়েছিল। একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।
No comments:
Post a Comment