বাঙালির চেতনার মহা উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ বেলকুচি এনায়েতপুরের তাঁতীরা শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে বৈশাখী শাড়ী উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয়রা।
তাঁত শ্রমিক কর্মচারী পাশাপাশি বাড়ির সকলেই এখন ব্যস্ত বাহারী রঙের কাপড় তৈরীতে। পহেলা বৈশাখে সিরাজগঞ্জের শাড়ীর ব্যাপক চাহিদার কারণে পাঞ্জাবী,লুঙ্গী,শাড়ী, ফতুয়া সহ বিভিন্ন প্রকারের বৈশাখী পোশাক তৈরীতে তাঁত পল্লীর পাশাপাশি প্রিন্টিং কারখানার শ্রমিকদের আরামের সুযোগ নেই। তারা দিনরাত নতুন নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন সাইজের শাড়ি ও লুঙ্গি সহ পোশাক প্রিন্ট করছে বৈশাখী উৎসবের জন্য।
এনায়েতপুরের খামারগ্রাম, বেতিল, গোপালপুর, গোপরেখী, ও শিবপুর, বেলকুচি উপজেলার তামাই, মুকুন্দগাতী ও শেরনগরসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি কারখানায় চলছে শাড়ী, থ্রি পিছ ও ফতুয়া প্রিন্টের কাজ। বাংলার ঐতিহ্য ঢোল, তবলা, একতারা, দোতারা, হাতি-ঘোড়া, ইলিশ, নৌকা, ধানের শীষ, লাঙল, হাত পাখা, ঘুড়িসহ নানা ধরনের আল্পনা আঁকা হচ্ছে বাহারী সব শাড়ীর উপড়ে। রং তুলির আচরে তুলে ধরা হচ্ছে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্য ও সংস্কৃতি।
মকিমপুর সয়দাবাদ এলাকায় বৈশাখী শাড়ি প্রিন্ট কারখানার কিছু শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানাযায়, বছর জুড়ে কাজ চললেও পয়লা বৈশাখকে ঘিরে তাদের বর্তমানে বিশ্রামের কোন সুযোগ নেই। অতিরিক্ত অর্ডারের জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে একটু সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারণে । তবে অন্য বছরের তুললায় ব্যবসা খারাপ না ভাল।
বোরহানীয়া টেক্সটাইলের স্বত্বাধীকারী হাজী আমির হামজা জানান, এখানকার উৎপাদিত শাড়ি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে অধিক হারে অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। প্রকারভেদে বৈশাখী শাড়ি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকায় পাওয়া যায়।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment