এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লায় চলতি বছরের গত ২৬ মার্চ কুমিল্লা সদর উপজেলার বারপাড়া (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের সফিক সর্দার এর ছেলে আনিছ (২৮) তার তিন সহযোগীর সহায়তায় একজন গৃহপরিচারিকাকে মারধর করে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর হতে ধর্ষক আনিছ (২৮) ও তার অন্যান্য সহযোগীরা পলাতক ছিল।
বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় গত ২৭ মার্চ একটি মামলা রুজু হয়।গত ২৯ মার্চ বিকাল বেলা র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার অন্যতম আসামী ও ধর্ষনে সহায়তাকারী জাবেদ (৩০), পিতা- হাসেম সর্দার, সাং- বারপাড়া (পশ্চিমপাড়া), থানা- কোতয়ালি, জেলা- কুমিল্লাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩০ মার্চ ভোররাতে সদরের বলরামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামী ও ধর্ষক আনিছ (২৮) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত উভয় আসামী স্বীকার করে যে, তারা গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় তাদের অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় প্রথমে ভিকটিমকে মারধর করে এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী জাবেদ (৩০) ও তার সংগীয় সহযোগীদের সহায়তায় ধর্ষক আনিছ (২৮) ভিকটিমকে কুমিল্লা কোতয়ালি থানার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের জনৈক ইয়াছিনের ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
ধর্ষণ ও মারধর শেষে ধর্ষক আনিছ (২৮), জাবেদ (৩০) ও তাদের অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিমকে ঘটনার বিষয়ে আইনের আশ্রয় না নেওয়ার জন্য প্রাণনাশসহ নানাবিধ ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় গত ২৭/০৩/২০২০ ইং তারিখে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক আনিছ (২৮), গ্রেফতারকৃত আসামী জাবেদ (৩০) ও তাদের অন্যান্য সহযোগীরা পলাতক ছিল।গ্রেফতারকৃত মামলার প্রধান আসামী ও ধর্ষক আনিছ (২৮) এবং তার সহযোগী জাবেদ (৩০) এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক উপ-পরিচালক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment