দোহারে হত্যার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 5 July 2020

দোহারে হত্যার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ

মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহারে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার রাধানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
 এ ঘটনায় ধর্ষণে সহযোগী এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার (৪ জুলাই) রাতে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রথম মামলায় একজন, দ্বিতীয় মামলায় দুইজন ও তৃতীয় মামলায় একজনকে আসামি করা হয়। পরে  ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সহযোগী সোমা আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধষিতার পিতা রিকশাচালক এবং পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা।
প্রায় চার মাস আগে স্ত্রী ও ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে উপজেলার বিলাসপুরের রাধানগর এলাকায় আটককৃত সোমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এরপর একই গ্রামের সেলিম চোকদারের মেয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর সখ্যতা গড়ে উঠে। সেই সুবাদে মাঝে মধ্যেই রাতে তার সঙ্গে রাতে ঘুমাতে যেতেন ওই কিশোরী। ভূক্তভোগী কিশোরী সাংবাদিকদের জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে এক রাতে সেলিম চোকদারের মেয়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম এবং ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে সেলিম চোকদার এসে তাঁর মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান সেলিম চোকদার। পরবর্তীতে সেলিম তাঁর প্রতিবেশী বন্ধু কিয়ামউদ্দিন হওলাদার ও ইদ্রিস মোল্লাকে নিয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন বাড়িওয়ালা সোমা।
ওই কিশোরী আরও জানান, ধর্ষণের সময় ধর্ষকরা এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধাঁরালো অস্ত্র দেখিয়ে তাকে হত্যার ভয় দেখাতো। এছাড়াও স্থানীয় মুদি দোকানী তারা মিয়া আমার বাবার কাছে টাকা পাবে এ কথা বলে সুযোগ বুঝে তাকে দোকানে ডেকে নিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতেন।
 এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সাংবাদিক ও নারী সমাজকর্মীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে পৃথক তিনটি মামলা নেন দোহার থানা পুলিশ।
মামলার বাদী ধর্ষিতা পিতা মো. সুমন সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্তরা তাকে প্রথমে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। তিনি অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন কে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের কাজে সহযোগিতা করার দায়ে বাড়িওয়ালা এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ধর্ষকরা পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages