একুশে মিডিয়া, ডেস্ক:
চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।লেয়াকত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলার বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি বরখাস্ত। বাঁশখালীতে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের মালিকানাধীন কয়লাভিত্তিক এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন লেয়াকত।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায়, ভূমি ও জলদস্যুতাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি, উপকূলীয় জলদস্যু বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে লেয়াকতকে গত বছরের ৭ মার্চ চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত প্রথম আলোকে বলেন, লেয়াকত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। লেয়াকত জনপ্রতিনিধি থাকাকালে দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। এর বেশির ভাগ সম্পদ তাঁর স্ত্রীর নামে নেন। লেয়াকত ও তাঁর স্ত্রীর নামে আরও সম্পদ আছে কি না, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
জানতে চাইলে লেয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আমি ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। আমি কারাগারে থাকাকালীন আমার স্ত্রী সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, লেয়াকতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় দুদক গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নির্দেশ দেন। পরের বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সম্পদ বিবরণী জমা দেন দুদকে। পরে দুদক যাচাই-বাছাই করে জেসমিন আক্তারের নামে ২ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার অবৈধ সম্পদ পান। এর মধ্যে রয়েছে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে নগদ অর্থ, ১৬টি দলিল মূলে জায়গা ক্রয় ও ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূলের একটি গাড়ি। স্বামী লেয়াকত জনপ্রতিনিধি থাকাকালে অবৈধভাবে এসব সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে সম্পদ গড়েছেন।
লেয়াকত আলী প্রথম দফায় ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত গন্ডামারা ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। পরের বার ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রথম আলো সূত্র একুশে মিডিয়া’র রিপোর্ট।
No comments:
Post a Comment