ঝিনাইদহে সড়ক সংস্কারের নামে ভোগান্তি: কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 26 April 2025

ঝিনাইদহে সড়ক সংস্কারের নামে ভোগান্তি: কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী থেকে কাতলামারী বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার সম্প্রসারণ প্রকল্প এখন এলাকাবাসীর জন্য স্থায়ী দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। 'উন্নয়নের আশ্বাসে' শুরু হওয়া এই প্রকল্প বর্তমানে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে রাস্তার এক পাশ খুঁড়ে ফেলে রেখে কার্যত উধাও হয়ে গেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন ভোর থেকেই এই সড়ক দিয়ে শত শত মানুষের যাতায়াত শুরু হয়। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অফিসমুখী কর্মজীবী, কৃষিপণ্যবাহী ভ্যান ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনের চলাচলে চরম ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গর্ত এবং খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বড় যানবাহন মাঝপথেই থেমে যেতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষিকা হাসিনা পারভীন বলেন, “প্রতিদিন সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে থাকি। রাস্তা এতটাই বিপজ্জনক হয়ে গেছে যে, সামান্য অসাবধানতাতেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। গত সপ্তাহে এক বৃদ্ধ ভ্যান থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।

ভ্যানচালক মন্টু শেখ জানান, “রাস্তার অবস্থা এতটাই নাজুক যে, গর্ত এড়াতে গিয়ে যাত্রীরা প্রায়ই পড়ে যান। কখনো কখনো চাকা আটকে গিয়ে আমরা দুজনেই বিপদের মুখে পড়ি।

স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, “প্রতিদিন সকাল-বিকাল আমরা যুদ্ধক্ষেত্র পার হওয়ার মতো দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করি। কাজ শুরুর কিছুদিন পর ঠিকাদার নিখোঁজ হয়ে যান।

অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের এক পাশ খুঁড়ে রেখেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম, যিনি ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সেই কাজের কোনো খোঁজখবর রাখছেন না।

বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, “সরকার উন্নয়নের কথা বলে বাজেট বরাদ্দ দেয়, কিন্তু বাস্তবে আমরা পাচ্ছি দুর্ভোগ আর ভোগান্তি। ঠিকাদার রাস্তা খুঁড়ে রেখে উধাও হয়ে গেছেন, তার কোনো জবাবদিহি নেই।

বিষয়ে একাধিকবার ফোন করেও ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সদর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, কাজ দ্রুতই আবার শুরু হবে। সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর আগেও আমরা তাকে চিঠি দিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই কাজ পুনরায় শুরু করবেন। আমরা আশাবাদী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages