এইচ. এম. শহীদ, পেকুয়া (কক্সবাজার):
লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন দেশের লবণচাষিরা। এই অবস্থায় সরকার যদি দ্রুত লবণকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেয় এবং চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না করে, তবে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লবণচাষি ও অধিকারকর্মীরা।
রোববার (৪ মে) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া সোনালী বাজার মসজিদ মাঠে আয়োজিত লবণচাষিদের জনসমাবেশে এসব দাবি ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ এবং লবণ, মৎস্য ও কৃষি কল্যাণ সমিতির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ করতে হবে এবং লবণচাষিদের ১৫ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ‘ধরা’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল। তিনি বলেন, “লবণচাষ ও লবণ মাঠ রক্ষায় সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় চাষিদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন লবণ, মৎস্য ও কৃষি কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক মাস্টার আবুল হাসেম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসাইন ও সাংবাদিক সোহেল আজিম।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-
সাবেক উপজেলা
ভাইস
চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু,
‘ধরা’
কক্সবাজার জেলা
শাখার
সিনিয়র
যুগ্ম
আহ্বায়ক সাংবাদিক ফরিদুল
আলম
শাহিন,
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুজিব
হক
চৌধুরী,
উজানটিয়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম
চৌধুরী,
লবণ,
মৎস্য
ও
কৃষি
কল্যাণ
সমিতির
সিনিয়র
যুগ্ম
আহ্বায়ক এম.
আজম
উদ্দিন,
সাংবাদিক আব্দুস
ছালাম
কাকলি,
মগনামা
ইউনিয়ন
বিএনপির সাধারণ
সম্পাদক জাকের
হোসেন,
প্রান্তিক লবণচাষি আদুল
হালিম,
কায়েস
চৌধুরী,
হাবিবুর রহমান,
জাফর
আলম,
নুরুল
কাদের,
রাশেদুল ইসলাম,
সংবাদকর্মী হুমায়ুন কবির
ও
ছাত্র
প্রতিনিধি শহিদুল
ইসলাম।
এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পেকুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক প্রান্তিক লবণচাষি সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
No comments:
Post a Comment