গাইবান্ধায় অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে মেধাবী ছাত্র শিপুলের - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 23 July 2020

গাইবান্ধায় অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে মেধাবী ছাত্র শিপুলের

একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) মেধাবী ছাত্র শিপুল কুমারের। টাকার অভাবে দৈনন্দিন সংসার খরচ এবং মেধাবী ছেলের পড়াশুনার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়ায় দুঃখে-অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন অসহায় মৎস্যজীবী পিতা সুভাস চন্দ্র। 
জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের বামুনিপাড়া গ্রামের অতিদরিদ্র সুভাস চন্দ্র দাস ভুট্টুর তিন ছেলেমেয়ে। তাদের মধ্যে শিপুল চন্দ্র অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় এলাকার লোকজনের পরামর্শে তাকে লেখাপড়া করাতে স্কুলে ভর্তি করে দেন সুভাস। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার পর তিনি কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর ডিপ্লোমা করেন। পরে তিনি পিতার আর্থিক দুরবস্থার মধ্যেও ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েটে ইলেকট্রনিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ডুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। 
সুভাস চন্দ্র দাস ভাড়া নেয়া পুকুরে মাছ চাষ করে এতোদিন অতিকষ্টে সন্তানদের ভরণপোষণ চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু দুই মেয়ের বিয়ে ও ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে এলাকার দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নেয়া শুরু করেন সুভাস। বর্তমানে সেই টাকা সুদে আসলে ১০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এখন দাদন ব্যবসায়ীরা টাকা পরিশোধের জন্য প্রতিদিনই তাকে প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছেন, কেউ কেউ বাড়িতে এসেও চড়াও হচ্ছেন। পাওনাদারদের চাপ ও কটূ কথা সহ্য করতে তিনি একদিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সুভাস চন্দ্র। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার মিলন নামের এক যুবক তার সহায়তায় এগিয়ে আসেন। তার সাহায্যে সংসার খরচ কিছুটা চললেও ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালানো দুরহ হয়ে উঠেছে। ওই যুবক ছাড়া তিনি কোনো সরকারি সহযোগিতা পাননি বলে জানান। 
করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিপুল কুমার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, চরম দারিদ্রের মধ্যে অনেক কষ্ট করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নে ডুয়েটে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক সংকট চরম আকার ধারণ করায় সামনের দিনগুলো পাড়ি দেয়া আরও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এই করোনাকালে বাড়িতে খাবারের সংস্থান নেই, তার উপর পড়াশুনার খরচ! সেই চিন্তায় কাহিল হয়ে পড়েছেন পিতা সুভাস ও ছেলে শিপুল। 
অসহায় মৎস্যজীবী সুভাসের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়–য়া ছেলে শিপুলের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে কেউ কি এগিয়ে আসবেন? তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৬৬-৯২১১৬৩ ও ০১৩১৪-৮৪২৮৯৭ নম্বর মোবাইল ফোনে। তাকে সাহায্য করতে পারেন বিকাশ নং ০১৭৮০-৫৩১৭৫৯ এর মাধ্যমে।
 
 
 
 
একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages