রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক কিশোরীকে উদ্ধারে গিয়ে স্থানীয়দের হামলায় যশোর কোতোয়ালি থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যশোর চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই শওকত হোসেন বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬০-৭০ জনকে অভিযুক্ত করে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এরপর পুলিশ রাতেই কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন—রাজু আহমেদ (২৬), মামুন (৩২), আতিকুল ইসলাম মিন্টু ও এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
জানা গেছে, বাকুলিয়া গ্রামের সুজন হোসেন যশোর থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে এনে বিয়ে করে বাড়িতে রাখেন। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগে যশোর থানা পুলিশ সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জে আসে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধারে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে।
মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ইমাদুলের বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। লাঠি ও বাটাম দিয়ে এএসআই তাপস কুমার পাল, কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুনকে মারধর করে।
পরে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
এ সময় যুবদল নেতা আছাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী মোছাম্মদ মাছুরা খাতুন বাধা দিতে গিয়ে আহত হন।
আহত কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন বলেন, “আমরা কিশোরীকে উদ্ধার করে ফিরছিলাম। তখন ৬-৭ জন এসে বাধা দেয় এবং আমাদের মারধর করে।”
ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
No comments:
Post a Comment