![]() |
একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি মুসলিম’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হাউ ডো সুয়ান।
গণমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা উল্লেখ করেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কটকে ‘বাঙালি মুসলিম জনগোষ্ঠীর সমস্যা’ বলেও মন্তব্য করেন।
সুয়ান বলেন, ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই এই সমস্যা চলে আসছে। ঊনবিংশ শতকে রাখাইনে এসব মুসলিমকে আনে ব্রিটিশরা। এরপর দ্বিতীয় বারের মতো ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে দেশটির মুসলিমরা এখানে আশ্রয় নেয়।
তিনি বলেন, এই কারণেই তাদেরকে বাঙালি বলা হয়। তাছাড়া তারা বাংলা ভাষায় কথা বলে। আর ‘উদ্ভূত’ রোহিঙ্গা শব্দটি কারও দ্বারা স্বীকৃত নয়। শুধু মুসলিম বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং সমর্থন পেতে শব্দটি সৃষ্টি করা হয়েছে।
এই সঙ্কট সম্পর্কে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, এর জন্য দায়ী মুসলিম সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’(এআরএসএ)। গ্রুপটি ২০১৬ সালের অক্টোবর এবং ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এটাই হলো এই মানবিক সমস্যার সূত্রপাত।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শুধু একপক্ষের গল্প শুনছে কিন্তু এআরএসএ’র অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে। মিয়ানমারকে জাতিগত নিধনের দায়ে অভিযুক্ত করা সম্পূর্ণ কাণ্ডজ্ঞানহীনতা। সরকার শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
একুশে মিডিয়া/এসি
No comments:
Post a Comment