এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে কালিকাপুর ইউনিয়নে ফাহিমা আক্তার( ২১) নামের এক পুত্র সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। এলাকাবাসীর সূত্রে ধারণা করা যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটির সূত্র ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার( ২১)।
গলায় ফাঁস দেওয়া ফাহিমা আক্তার উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের জামমুড়া গ্রামের ওয়াসিম আক্রামের স্ত্রী, তার বাবার বাড়ী জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম জোর কানন ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে।
ইরফান হোসেন নামে ৯ মাস বয়সের তার একটি পুত্র সন্তান আছে।বৃহস্পতিবার ২৮মে বিকাল ৫.৩০ মিনিটের সময় এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।স্থানীয় এলাকাবাসী ও গলায় ফাঁস দেওয়া ফাহিমা আক্তার এর স্বামীর দেওয়া তথ্য মতে জানা যায় যে,ফাহিমা আক্তারের স্বামী ওয়াসিম আক্রাম শয়ন কক্ষের দুটি দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে তাকে ডাকাডাকি করতে থাকে।
অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পরেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে দেখে তার স্ত্রী ঘরের ভূতুরের সাথে উড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।তখন সে চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন এসে সাবল দিয়ে ঘরের দরজার লক ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখে সে ঘরের ভূতুরের সাথে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে এই আত্মহত্যর ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানায়।
ফাহিমা আক্তারের স্বামী ওয়াসিম আক্রাম এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান বৃহস্পতিবার দুপুরে তার স্ত্রী বাবার বাড়ী যেতে চায়।
তখন তাকে আমি বলি লকডাউনের কারণে আমি তিন মাস বেকার, হাতে টাকা পয়সা নেই। তুমি কয়েকদিন পর তোমার বাবার বাড়ী যাও, একথা বলাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।পরবর্তীতে আমি গোয়াল ঘরে কাজ করে ঘন্টাক্ষানেক পরে এসে দেখি রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ঘরের ভূতুরের সাথে তাকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখি। সাথে সাথে বাড়ীর লোকজন এসে রুমের লক ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে মৃত দেখতে পায়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন লিটন জানান,পরিবারের লোকজন ফাহিমাকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঘরের ভূতুরের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে আমরা ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।তবে কী কারণে ফাহিমা আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।
আত্মহত্যার বিষয় টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদ একুশে মিডিয়াকে জানায় আমরা স্থানীয় প্রতিনিধি দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানায় এই পুলিশ কর্মকর্তা।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment