![]() |
নিহত জোসনা আক্তার ও তার এলব্যামন ছবি। |
একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম
দক্ষিণ জেলাধীন সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ১নং
ওয়ার্ডের চনখোলা হালুয়াঘোনা গ্রামের চৌকিদার বাড়ীতে নুর
আহমদের পুত্র
মোকতার আহমদ এর সহিত বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড
পূর্ব গুনাগরী গ্রামের রফিক আহমদের কন্যা জোসনা আক্তারের সামাজিকভাবে বিবাহ বন্ধন হয় ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। তাদের
সংসারে তিন মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
![]() |
জোসনা আক্তারের তিন মাসে বয়সী কন্যা ও তার লাশ ঝুলিয়া রাখা সিলিং ফ্যান। |
গত ১২সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে
পরিকল্পিত বাবে মোক্তার আহমদের স্ত্রী জোসনা আক্তারকে পশু স্বামীসহ
শাশুরবাড়ী লোকজন তাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ প্রশাসানের ধারে ধারে। প্রায় দেড় মাস
হয়ে গেলেও থানা পুলিশ প্রভাবশাশীদের ছাপের মুখে পড়ে মামলা নেন নি।
স্থানীয়
সূত্র জানা যায়, মোক্তার আহমদ তার শাশুবাড়ী পরিবারের কাছে প্রায় সময় বিভিন্ন
অজুহাতে টাকা পয়সা নিয়েছে। একম কি স্বর্ণ অলংকার পর্যন্ত বন্ধক দিয়ে টাকা দিয়েছে
মেয়ে সূখের জন্য। কন্যা সন্তান জন্মের পূর্বে জোসনা আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামী
শাশুবাড়ীতে খবর দেন, এই খবর প্রতিবেশির কাছ থেকে টাকা ধার করে জোসনা আক্তারকে চিকিৎসার
জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চমেক হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায়
জোসনা আক্তারের পিতা মৃত্যু বরণ করেন।
![]() |
সূত্র
জানা যায় জোসনা আক্তারের
স্বামী মোক্তার আহমদের সাথে
তার প্রবাসী কবির
আহমদের স্ত্রী তার ভাবী সঙ্গে দির্ঘদিন যাবৎ পরকীয়
চলে আসছে, এইসব বিষয়ে জোসনা আক্তার জানতে পারলে
স্বামী বুঝিয়া বলেন, আপনি এইসব কান্ড থেকে ফিরে আসুন, না হয় আমি আমার বাপের বাড়ীতে
জানিয়ে দেব। পরে তারা পরিবারের লোকজন মিলে মোক্তার আহমদ ও ভাভী মুছুদা খাতুনকে পারিবারিকভাবে
চাপসৃষ্টি করেন। কিছু দিন যেতে না যেতে তারা আবাও অসামাজিক কাজে জড়িত হয়। এসব বিষয়
জোসনা আক্তারের নজরে পড়ে। বিষয়টি শাশুবাড়ীতে জানাবে বলে পরিবার লোবজন একত্রিত নিজের রক্ষা করার জন্য। জোসনা আক্তারের স্বামীর প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুচুদা খাতুন,
শাশুর নুর
আহমদ, শাশুরি কুনচুমা খাতুন,
অলি আহমদ,
মোকতার আহমদ
মিলে, গত ১২সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পরিকল্পিত বাবে মোক্তার
আহমদের স্ত্রী জোসনা আক্তারকে খুন করেন।
খুনের
ঘটনাকে লুকোনোর জন্য বাড়ী সিলিং ফ্যানের পাখের সাথে ফাঁসি খাইয়া আত্নহত্যা করছে
বলে মোক্তার আহমদ শাশুবাড়ীতে খবর দেন।
এই
খবর শুনে শাশুবাড়ী লোকজন চনখোলা হালুয়াঘোনা গ্রামের চৌকিদার বাড়ীতে গিয়ে দেখে সিলিং ফ্যানের একটি পাখায় অধ্য ঝুলন্ত
অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে অধ্য ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার
করেন।
স্থানীয়
সূত্র জানা যায় নুর আহমদের পত্র বধু জোসনা আক্তারকে পরিকল্পলিভাবে হত্যা করা
হয়েছে। বাড়ী সিলিং ফ্যানের একটি পাখের সাথে অধ্য ঝুলন্ত অবস্থায় আত্নাহত্যা করতে
পারে না।
হত্যাকারীরা
নিজেকে বাঁচানো জন্য হত্যার পর বাড়ী সিলিং ফ্যানের একটি পাখার সাথে চিকন
রশি গলায়
পেছিয়া তাকে ঝুলিয়া
রাখেন। এবং যে রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করেন, সে রুমে দরজার বাইরের দিখে হুক
মারা অবস্থতায় দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন।
এই
হত্যাকান্ড নিয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলার জন্য গেলেও প্রভাবশালী ছাপের মূখে পড়ে
মামলাটি নেন নি পুলিশ।
জোসনা
আক্তারের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বোনকে খুন করা হয়েছে, আমরা সাতকানিয়া
থানায় মামলা মামলা করা জন্য গেলে প্রথমে মামলা নেওয়ার কথা বলছে ওসি সাহেব। কিন্তু
পরে আরোও অনেক বার গেলেও স্থানীয়
প্রভাবশালীদের ছাপের মুখে পড়ে মামলাটি নেন নি আর।
জোসনা আক্তারের পরিবারের লোকজন এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু চেয়ে প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রায় দেড় মাস যাবৎ।
No comments:
Post a Comment