একুশে মিডিয়া ডটকম:
কর্মসূচি পালনের নতুন দিন হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনকে উপলক্ষ করেছে বিএনপি; ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ রয়েছে তাদের।নজরুল বলেন, “ঢাকায় ২৪ তারিখের পরিবর্তে আমরা একটা উপযুক্ত দিনের চিন্তা করছিলাম। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, ৩০ তারিখ সর্বোত্তম একটা চয়েস, সবচেয়ে ভালো একটা অল্টারনেটিভ হতে পারে। এই কারণে যে অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে যা আমাদের আন্দোলন এবং নির্বাচিত যথাযথভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে জনগণকে ৩০ ডিসেম্বর স্মরণ করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
“কারণ ২০১৮ সালের এই দিনে(৩০ ডিসেম্বর) দিনের ভোট রাতে করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরে আমাদের ১০ দফার দাবির আলোকে এবং সেই ভোট জালিয়াতি এবং ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এই দুর্নীতিবাজ অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, ওই সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিন ক্রমবর্ধমান ঊধর্বগতি প্রতিরোধ, সরকার ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের সীমাহীন দুর্নীতি-অনাচার-লুটপাটের অবসানের লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পরিবর্তে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার যে লড়াই সেই লড়াইকে আমরা এগিয়ে নেবো ৩০ তারিখের গণমিছিলের মাধ্যমে।”
গণমিছিল ঢাকায় কোথায় হবে, তার স্থান পরে জানানো হবে বলে জানান নজরুল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, তাইফুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment