একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী বড়ুয়া পাড়া এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিরোধীয় জায়গায় নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদীর বিরুদ্ধেই। এই ঘটনায় প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর জলদী গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে মৃদুল বড়ুয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম (দক্ষিণ)-এ একটি মিছ মামলা (নং ৩৩৭/২০২৫) দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় সুভাষ বড়ুয়া, শীমুল বড়ুয়া, দেবু বড়ুয়া ও অসিত বড়ুয়াকে। আদালত শুনানি শেষে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় বিরোধীয় ২৪ শতক জায়গার ওপর উভয়পক্ষের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং বাঁশখালী থানাকে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য নোটিশ জারির নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাঁশখালী থানার এএসআই মো. আজিজুর রহমান উভয়পক্ষকে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ প্রদান করেন এবং চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন উক্ত জায়গায় কোনো কার্যক্রম না চালায়, সে বিষয়ে সতর্ক করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, বাদী মৃদুল বড়ুয়া পুলিশের নোটিশ পাওয়ার পরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জায়গায় রাতের আঁধারে ও দিনের বেলায় ট্রাকযোগে পাহাড়ি মাটি এনে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রায় ৮ ফুট প্রশস্ত ও ৭০ ফুট দীর্ঘ জায়গায় কাজ করে পাকা পিলার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন।
এই ঘটনায় ২ মে (শুক্রবার) প্রতিপক্ষ সুভাষ বড়ুয়া, শীমুল বড়ুয়া, দেবু বড়ুয়া ও অসিত বড়ুয়া বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার এএসআই মো. আজিজুর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী উভয়পক্ষকে ১৪৫ ধারার নোটিশ দিয়েছি। প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে বাদী নিজেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।”
অভিযুক্ত বাদী মৃদুল বড়ুয়া বলেন, “আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে ঠিকই, মামলাটি আমি নিজেই করেছি এবং নিষেধাজ্ঞার আবেদনও করেছি। তবে জায়গাটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি, তাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটি প্রতিপক্ষের জায়গা নয়। পরবর্তী ধার্য তারিখে আদালতকে বিষয়টি জানিয়ে দেব।”
No comments:
Post a Comment