রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামে সাদা পোশাকে কিশোরী উদ্ধার অভিযানে গিয়ে পুলিশের হামলা ও নিরীহ মানুষের নামে মামলা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এক ঘণ্টাব্যাপী খয়েরতলা-বাকুলিয়া সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন বাকুলিয়া ও খয়েরতলার শতাধিক নারীসহ এলাকাবাসী।
জানা গেছে, সোমবার (৫ মে) যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই তাপস কুমার পাল ও নারী কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন একটি কিশোরী উদ্ধার অভিযানে সাদা পোশাকে বাকুলিয়া গ্রামে যান। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা স্থানীয় এক বাড়িতে ঢুকে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক বের করে আনার সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ এক নারীকে মারধর করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তিন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা মারধর করেন।
পরে কনস্টেবল শওকত আলী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০ জনকে আসামি করা হয়। ইতিমধ্যে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীর দাবি, আটককৃতরা নিরীহ কৃষক এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ ও আতঙ্ক:
বাকুলিয়া গ্রামের গৃহবধূ শিউলি খাতুন বলেন, “সাদা পোশাকে পুলিশ কিশোরীকে টেনে নিয়ে যেতে চাইলে প্রতিবাদে হাতাহাতি হয়। এক নারী পুলিশ আমাকে ঘুষি মারে, আমি মাটিতে পড়ে যাই।”
অন্য এক নারী, কনিকা খাতুন বলেন, “গ্রামে পুরুষ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ধান কাটার সময় হলেও কেউ মাঠে যেতে পারছে না। রাত হলে কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না।”
স্থানীয় যুবক আলমগীর হোসেন বলেন, “পুলিশ পরিচয় না দিয়ে কেন সাদা পোশাকে অভিযান চালানো হলো? এটা অন্যায়, অথচ নিরীহদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশের অবস্থান:
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
No comments:
Post a Comment